মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ওসি মাইনুল শহ চার জনের নামে মামলা রংপুর পাঠশালার মোড়ে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার এই বিলাস বহুল বাড়িতে ৭/৮ মাস যাবত গৃহ পরিচারিকা কাজ করত কিশোরী মৌসুমী(১৫) অভিযোগ উঠেছে যে ১৪/২/২৩/ ইং তারিখে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল বাড়ির ঘেসে থাকা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাথরুমের ছাদে কিশোরী মৌসুমীর নিথর দেহের পা দুটো দেখতে পায় সেই স্কুলের কর্মরত আয়া সুমাইয়া তড়িঘড়ি করে খবর দেয় সহকারী শিক্ষিকা ফেরদৌসী কে খবর টি জানানোর পরে দ্রুত গতিতে স্কুলে এসে দেখতে পায় সরকারের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ কর্মকর্তারাএসে তাড়াহুড়া করে লাশটি নিয়ে যায় মুন্সিপাড়া পাঠশালার মোড়ে সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর বাথরুমের ছাদে পড়ে থাকা মৌসুমি নামে ১৫ বছরের গৃহ-পরিচারিকার কাজ করা এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্যাতন করে মেরে ফেলে পরবর্তীতে দুই পায়ের রগ কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পরে তাকে পুলিশ বিল্ডিং এর ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে তরুণীর মরদেহ পরবর্তীতে যেন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যায় স্থানীয় সুত্র বলছে
৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কয়েক জন ব্যাংকার ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মিলে বিলাশ বহুল এই আবাসন তৈরি করেছেন সেখানেই প্রায় ন’মাস যাবৎ গৃহ-চারিকার কাজ করে আসতে ছিলেন সুন্দুরী তরূণী মৌসুমি আক্তার এরেই সুবাদে কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মরত সদর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ওসি মাইনুল ইসলাম এর বাসায় কাজ করতেন মৌসুমী আকতার নামে এক তরুণী মৌসুমী রংপুর সদর উপজেলার ৩ নং চন্দন পাট ইউনিয়নের কালা পাড়ার মোশারফ হোসেনের মেয়ে মৌসুমি আক্তার মা কল্পনা আক্তারের মৃতুর পর পরেই রংপুর মহানগরীর ১২ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দার তার মামা মঞ্জুরুল ইসলাম মৌসুমির বাবা কে মৌসুমির লেখাপড়ার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে আসে সেখানে বেড়ে ওঠেন মৌসুমি কিন্তু তাঁর মামা মঞ্জুরুল ইসলাম এর দারিদ্রতার কারণে, রংপুর সরকারি কলেজের পিওন সুরুজ মিঞার মাধ্যমে তারই সু-পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মাইনুল ইসলাম এর বাড়িতে কাজ নিয়ে দেন তাতে সুন্দর ভাবে কাটছিল দিন কিন্তু হঠাৎ করে ৭/২/২৩ ইং তারিখে তার মামার বাসায় চলে আসে এবং তার মামাকে কান্না কান্না আওয়াজে বলে সে ওখানে আর কাজে জাবেনা কিন্তু তার মামা মনজুরুল ইসলাম নাছোর বান্দা সে আবার রংপুর সরকারি কলেজের পিয়ন সুরুজকে খবর দেয় কিন্তু সুরুজ কোন কিছু না শুনে না বুঝে পুনরায় মৌসুমিকে জোর জবরদস্তি করে তারই সুপরিচিত ওসি মাইনুলের বাসায় রেখে আসে কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই গত ১৩/২/২৩ ইং সকালে মৌসুমির মামা মনজুরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে মৌসুমি আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ পাঠানো হয় এবং দ্রুত আসতে বলা হয় রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া পাঠশালা মোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের ছাদে তরুণীর মরদেহ দেখতে পায় স্কুলের আয়া ঘটনাটি দ্রুত সহকারি শিক্ষিকা ফেরদৌসী কে জানানো হয় পরে দ্রুত স্কুলে এসে পৌছিলে তার আগে পুলিশ তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থল থেকে লাশ নিয়ে চলে যায় পরবর্তীতে শুনতে পাওয়া যায় কে বা কারা সরকারের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন পরে পুলিশ এসে তড়িঘড়ি করে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়দের অভিযোগ,
পুলিশের বাড়ি নামে পরিচিত “প্রয়াস এপার্টমেন্ট এই বাড়ি তে বসবাস করত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি দপ্তরের কিছু অফিসার কিন্তু দুঃখের বিষয় এদের কারো সাথেই ওই এলাকাবাসীর তেমন কোন ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি স্থানীয়দের সাথে তেমন মিশেন না কেউ তবে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রায়ই রাতে এই বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট থেকে কান্না কাটি ও চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ শোনা যেত পরবর্তী তে মৌসুমি হত্যা কে টাচ করে যে এই চিৎকার চেচামেছি ছিলো নির্যাতনের একটা অংশ পাঠশালার মোড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম জানান ,ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে স্কুলের আয়া সুমাইয়া স্কুলে গিয়ে বাথরুমের উপরে মরদেহের পা দেখতে পান পরে স্কুল সংলগ্ন সহকারী শিক্ষিকা ফেরদৌ সির বাসায় গিয়ে বিষয়টি জানান পরে ফেরদৌসী খবর পেয়ে আমাকে জানালে আমি দ্রুত স্কুলে যাই,তখন সময় আনুমানিক সকাল ৯টা আমি গিয়ে শুনি পুলিশ এসে তড়ি ঘড়ি করে লাশ নিয়ে গেছেন এলাকা বাসি প্রতক্ষদর্শীরা জানান তরুণির লাশ উদ্ধারের সময় আমরা দেখেছি তার দুই পায়ের রগ কাটা ছিলো আমাদের ধারণা হয়তো তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে স্থানীয়রা আরও জানান,তার মৃত নিশ্চিত করতেই পায়ের রগ কাটা হতে পারে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার গভীরভাবে তদন্ত করা অত্যন্ত জরুরী আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা নাহলে আমরা এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা: আয়শা পারভিন জানান,মৌসুমির পোষ্ট-মোর্টেম করা হয়েছে, ভিসেরা রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং ধর্ষণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে ভ্যাজাইনাল সোয়াব পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছেনা এবিষয়ে জানতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান-কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি একই বিষয়ে ওসি দতন্ত হোসাইন জানান আমি ছুটিতে আছি এব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারিনা তবে ইউডি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি পোষ্ট মোর্টেম রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা হতে পারে এরই ধারাবাহিকতায়
রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ জানান, নিহত তরুণী কুড়িগ্রাম জেলার সদর ফাড়ি ইনচার্জ মাইনুল এর বাসায় কাজ করতো, আপাতত মরদের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে আপাতত একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে প্রয়াস এপার্টমেন্ট এর নাইটগার্ড, কেয়ারটেকার, স