মোহাম্মদ আলী।জেলা প্রতিনিধি।লক্ষীপুর জেলা সহ আশে পাশের অনেক জেলা রয়েছে যে সব খানে যাকে হ্যামিলনের বাঁশীওয়া নামে চিনেন। তিনি আর কেউ নয়,লক্ষীপুর জেলার মুকুট বিহীন সম্রাট এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। চোট বেলা অনেকে হ্যামিলিনের বাঁশীওয়ালার গল্প পড়েছে যার পিছনে সবাই ছুটে চলে যায়।
কিন্তুু রাজনীতির মাঠে এ কেমন বাঁশীওয়ালা, যার রাত দিন বলতে কোন বিশ্রাম নেই। নিজ বাসা থেকে শুরু করে রাজপথে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলা। অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে নিজের দলের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করে যাওয়া। দুর দুরান্ত থেকে আসা নেতা কর্মীর সুখ দুঃখের ভাগীদার হওয়া, সবার কথা মন দিয়ে শুনা,এমন ধৈর্য্য ও গুন আর কার নয়। তিনি হলেন লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর দুই আসনের সাংসদ এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
যার বাসা আর অফিস জনসাধারণ থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওমীলীগের নেতা কর্মীদের পদ চারনায় মুখরিত। আসছে আগামী একুশে নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন কে কেন্দ্র করে পুরো জেলা যেন উৎসব মুখর হয়ে উঠলো। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের অলী গলী ও চায়ের দোকানে একটি আলোচনা কে হবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,
আগামী দিনেও তারা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন কে দেখতে চায়। তার কারন জামাত বিএনপি ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ লক্ষীপুর জেলা এখন আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসাবে গড়ে উঠেছে। যার এক মাত্র কারন হলো তৃনমূল আওয়ামী লীগ কে সু সংগঠিত করে গড়ে তোলেন মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারন সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এ দুই নেতার মাঝে কখন ও গ্রুপিং হয়নি বলে নেতা কর্মীদের দাবি। তিনি নিজ দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় দলকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে মেধা ও প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে যাচ্ছেন।
অত্যন্ত সু কৌশলে বিরধী দলকে দমিয়ে রাখতে এ নেতার ভুমিকা অপরিসীম। তিনি নিজ দলের সাংগঠ নিক নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তৃনমুলের মেধাবী ও ত্যাগীদের থানা,উপ জেলা ও জেলার রাজনীতিতে স্হান করে দিচ্ছেন।
প্রতিদিনই দলীয় কোন না কোন কর্মসুচী কিংবা সা মাজিক কর্ম দিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়।সাংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে সরকারি বেসরকারি বিভি ন্ন দপ্তরের সভা সেমিনারে সমান্তরাল ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এলাকার জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে নিজ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভাগ্য বঞ্চিত এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়ন এ নিজের সর্বোচ্চ শ্রম বিলিয়ে যাচ্ছেন। একের পর এক প্রকল্প সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এলাকাবাসীর উন্নয়নে।
প্রকল্পের কোন অনিয়ম যাতে না হয় সে জন্য নিজে তদারকি করেন। তার সাথে দেখা কিংবা কথা বলতে সময়ের প্রয়োজন হয়না। তিনি নিজে সরাসরি নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং সবার খোঁজ খবর নেন।দলীয় নেতা কর্মরা জানায় এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন মন ও মগজে একজন খাঁটি মজীব আদর্শের সৈনিক।যার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল জীবন থেকে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি এ শ্লোগান কে বুকে ধারন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন।
রালক্ষীপুরের হ্যামিলিনের বাঁশীওয়ালা নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।জনৈতিক জীবনে এসে যাকে পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি। নিজের মেধা ও পরিশ্রম কে কাজে লাগিয়ে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে যাত্রা শুরু করে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, এবং বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের একজন সফল সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন কর ছেন। লক্ষীপুর ২ আসনের উপ নির্বাচন বিজয়ের পর থেকে স্বল্প সময়ে সংসদ সদস্য হিসে বে তিনি নিজের সাংসদীয় এলাকা নতুন ও পুরাতন ৭০টি সড়ক পাকা করন করেছেন।এ ছাড়া লক্ষীপুর
পানপাড়া হাইওয়ে সড়ক,মীরগঞ্জ সড়ক,হায়দার গন্জ সড়ক, লক্ষীপুর রামগঞ্জ সড়ক ফোরলেন,সহ চারটি হাইওয়ে সড়কের উন্নয়ন কাজের ডিও লেটার দিয়েছেন। এলাকার ৮টি ব্রীজ ও ১০ টি ডাবল সোলিং সঠকের কাজ করেছেন।কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান সহ ৫০ টির ও বেশী ভবন নির্মাণের ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ টির কাজ উদ্বো ধন করেন। লক্ষীপুর মজু চৌধুরীর হাট
নৌবন্দর ও ইকোনোমিক জোন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক মেগা প্রকল্পের প্রস্তাবনা দিয়ে অর্থ বরাদ্দ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিয়াজো করেছেন। এছাড়াও তিনি টিআর কাবিখা বরাদ্দ থেকে এলাকার প্রায় সাত কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন মসজিদে আর ও তিন কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন অল্প সময়ের মধ্যে এতো উন্নয়ন কাজ আর কেউ করেনি।এ সব বিষয়ে সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, নিজ দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করা আর নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন এ প্রত্যক্ষ ভুমিকা পালন করাই আমার মুল উদ্দেশ্য। আমি প্রাণ পন চেষ্টা করবো
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে।এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে।গ্রাম হবে শহর এ শ্লোগান কে সামনে রেখে আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। আর যত দিন বেঁচে থাকবো আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং আদর্শ কে বুকে দারন করে দলের জন্য কাজ করে যাব। দলের জন্য কাজ করে যে আত্ম তৃপ্তি পাই, তা অন্য কোন কাজ পাইনা। সারাজীবন যেন দলের জন্য কাজ করে যেতে পারি এটাই আমার বড় চাওয়া পাওয়া।
হ্যামিলিনের বাঁশীওয়ার রাজনী মাঠে যেমন জুড়ি নেই। তেমনি মিষ্টিবাসী এ মানুষটির কথার মাঝে নাকি জাদু আছে, সহজে কাউকে আপন করে নেওয়া, কারো মান অভিমান ভাঙিয়ে হাঁসাতে পারেন। তাই নিজ জেলার ৫৮ টি ইউনিয়ন এ নেই কোন দলীয় কোন্দল। প্রতিটি ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সবার সাথে রাখছেন যোগাযোগ।
তাই লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগ কে সু সংগঠিত রাখতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ দলের অস্তিত্ব জানন দিতে এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বিকল্প নেই বলে মনে করে তৃনমুল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।আর সাংগঠনিক দক্ষতা আছে বলে তিনি হ্যামিলিনের বাঁশীওয়ালা।