নূর মোহাম্মদঃ
লক্ষ্মীপুরের যততত্র চলছে সরকারি খাল ও রাস্তার যায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের উৎসব। এসব দেখেও কতৃপক্ষ নির্বিকার।পানি উন্নয়ন বোর্ডে র জমিন দখল,সড়ক ও জনপথের যায়গা অবৈধ দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করলেও কতৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান ধরে আছে।সরেজিনে দেখা যায় রায়পুর থেকে চরবংশীর খাসেরহাট সড়কে খাল দখল করে অর্ধ’শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে ।এতে করে দীর্ঘ খাল সরু হয়ে পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে ফসলি জমিতে সেচ ও পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ম খালের উপর আরসিসি পিলার দিয়ে ব্রীজ নির্মান হচ্ছে। প্রতিবাদে গত ২৬ ডিসেম্বর প্রায় শতাধিক গ্রামবাসি বিক্ষোভ করেছি লেন। কিন্তু তিন মাস কাজ বন্ধ রাখার পর এখন আবারও কাজ করা হচ্ছে।
পাউবোর খালের উপর আরসিসি পিলারে পাকা স্থা পনার সময় পুলিশ ও ইউপির ভূমি তহশিলদার কে জানালে তারা কেউ ব্যাবস্থা নেয়নি। কিন্তু বংশীব্রীজ সংলগ্ন হোটেল মালিক সুমন বেপারী লক্ষ্মীপুরের পাউবোর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ব্রীজ ও বহুত ল হোটেল ভবন নির্মান করছেন।বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে সরজমিন গেলেও এর সত্যতা পাও য়া যায় এবং প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নিতে ক্ষুদ্ধ গ্রামবা সী আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,উত্তর চরবংশী ইউপির বংশী ব্রীজের ঢুকতেই পাউবোর উপর ডান পাশে খাবার হোটেল সুমনের। হোটেলের সকল ময়লা নদীতে ফেলে দূষন করছেন। এখন নতুন করে বাম পাশের পাউবোর খাল দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থাপনা (ব্রীজ) করছেন।পাউবো খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বিষয়ে সুমন মিয়া বলেন, সড়কের পাশে পাউবোর কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিয়ে খালে স্থাপনা (ব্রীজ) নির্মাণ করছি। গ্রামবাসী না বুঝেই আমাকে কাজ করতে দেয়না। কাজ এখন কাজ করছি।
উত্তর চরবংশি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন,পাউবোর খাল দখল করে ব্রীজ নি্রমানের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও উপ জেলার বিভিন্ন স্থানে খাল দখলের প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে একসময় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে এ এলাকার কৃষিতে বিপর্যয় নেমে আস তে পারে।ইউএনও অনজন দাশ বলেন‘খাল দখল করে পাকা ইমারত নির্মান করা যাবেনা। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।এছাড়াও হাজিমারা- চরকাচিয়া মোল্লার হাট হয়ে ইটের পোল পর্যন্ত বেড়ির রাস্তার দুই পাশে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইচ্ছেমত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে চলছে।
খাল দখল করে ইমারত নির্মানের কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুখ আহ ম্মেদ বলেন,রায়পুরে সড়কের পাশে খাল দখল করে ব্রীজ নির্মানের বিষয়ে জেনেছি। দখলের স্থান পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যব স্থা নেয়া হবে’অন্যদিকে সড়ক ও জনপথের যায়গা অবৈধ দখল করে চলছে ইট বালুর ব্যবসা। বাতাসে র সাথে এসব বালু উড়ে পথচারীদের টিকা দায়।কোথাও কোথাও চলছে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ ফলে সংকুচিত হচ্ছে রাস্তা,বাড়ছে দূর্ঘটনা।এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মী পুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌ শলী জহিরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, শিঘ্রই এসব বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।