March 20, 2025, 4:48 am
শিরোনামঃ
ঈদে মহানগরীর নিরাপত্তায় ডিএমপি ১৪ নির্দেশনা ৩১ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১০৫ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকার সহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সংবাদটি দ্রুত পৌঁছে যায় সুদূর হবিগঞ্জে ভিক্টিমের পরিবারের নিকট ময়মনসিংহ অবৈধ নকল খাবার তৈরির মোমিন ফুড প্রোডাক্ট কারখানায় সিলগালা সহ জরিমানা রংপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাবার সময় ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ময়মনসিংহে আটক আরসার ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা, ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ ময়মনসিংহে দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শওকত হাওলাদারের সন্ত্রাসী পুত্রের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের একশন শুরু সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম’র কাছের লোক পরিচয়ে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পিডি বারেকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

লোমহর্ষকভাবে হত্যা;মাদক ও জুয়ার ছোবলে একটি পরিবার ধ্বংস

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আসামি (বাবা) জুতার ফিতা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচানোর সময় ছেলে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। অনে ক হাউমাউ করে কাঁদে। ছেলেটি বলে,‘বাবা,তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে?’মাদক ও জুয়া জুয়ার ছোবলে একটি শিক্ষিত মানুষের এবং সচ্ছল পরিবার কিভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তা এই রায় পড়লে বুঝতে পারবেন।রায় পড়তে গিয়ে কাঁদলেন বিচারক:

এজলাস, ঢাকা মহানগর ৭ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে লোমহর্ষকভাবে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।ঢাকা মহানগর ৭ম অতিরি ক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় রায় ঘোষণা শেষ করেন। রায় পড়ার সময় বিচারকের চোখও হয় অশ্রুসজল।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইন জীবী ও মামলার বাদি মুন্না রহমান উপস্থিত ছিলেন। আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় ছিলেন। আদাল তের বাম পাশে কাঠগড়ায় আসামি রাকিব উদ্দিন, সামনের বেঞ্চে আইনজীবী, সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পিন পতন নীরবতার মাধ্যমে বিচারক বিকেল ৪টা ২০মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় শেষ করেন ৫টা ৫০মিনিটে। রায়ে সাক্ষীদের বিবরণও পড়ার পর আসামির দোষ স্বীকারোক্তি পড়েন বিচারক।

আসামির ছেলে ফারহান উদ্দিনকে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যার সময় ফারহান বলে ওঠে,‘বাবা তুমি কী আমাকে মেরে ফেলবে’?এ বর্ণনা পড়ার সময় কেঁদে ফেলেন বিচারক। রায় পড়তে পড়তে বিচারকের চোখ দিয়েও পানি পড়তে থাকে। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ঘটনার বিবরণ শুনতে থাকা আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেককে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

‘আদালতে এই হত্যার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি রাকিব উদ্দিন। হত্যার বিবরণে বলা হয়,প্রথমে স্ত্রী মুন্নীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং পরে গলা টিপে হত্যা করে। টিভি দেখার সময় রশি দিয়ে তিন বছরের মেয়ে লাইবার গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে। বারো বছরের ছেলে ফারহান উদ্দিন বিপ্লব অন্যরুমে ঘুমাচ্ছিল। রাকিব জুতার ফিতা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচানোর সময় ছেলে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। অনে ক হাউমাউ করে কাঁদে। ছেলেটি বলে,বাবা,তুমি কি আমাকে মেরে ফেলবে? তারপর জোর করে ছেলে টির গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে। ক্রমেই ছেলেটি নিস্তেজ হয়ে যায়।

মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সাথে সাথে আসামি রাকিব উদ্দিন কাঠগড়ায় সিজদা আদায় করেন। পরে আদালত থেকে বের হয়ে বলেন,আমি রায়ে খুশি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার স্ত্রী সন্তান যেখানে আমি সেখানে চলে যেতে চাই। আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব না। আমি চাই দ্রুত রায় কার্যকর হোক।’

রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় ছটফট করতে থাকে আসামি রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ লিটন। রায়ের পর মামলার বাদি নিহত মুন্নির ভাই মুন্না রহমান বলেন, ‘আমার দুইবোনকে একই পরিবারে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। ছোট বোন রাকিবকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। সংসারে সুখের অভাব ছিল না। কিন্তু রাকিব এক সময় মাদক ও জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে যায়। যার পরিণতি পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। দুটি ফুটফুটে সন্তানকে কীভাবে সে হত্যা করেছিল। আমি চাই আর কোনো পরিবার এভাবে যেন ধ্বংস না হয়।’রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। জুয়ার ছোবলে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পারায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST