মো: সবুজ হোসেন রাজা,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিবেশীর অপরিষ্কার ও দুর্গ ন্ধযুক্ত পানিতে পরিবারসহ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন মু ক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম মিয়া।ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে রয়েছে শিশু সহ পরিবারের সকল সদস্য।জানা যায়,সিরাজগঞ্জে র শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া দিঘিরপাড়া গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম মিয়া (৭৩)।
একসময় পোতাজিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন,বর্তমানে শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ্য,জী বনের শেষ সময়ে স্ত্রী, সন্তান ও নাতিনাতনী নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপনের ইচ্ছা তার।তবে প্রতিবেশী শিকাব আলীর সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের ফলে কিছুটা অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে তাদের। বাড়ির প্রবেশ মুখে শিকাব আলীর অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানির জন্য তারা স্বাভাবি ক চলাফেরা করতে পারছে না।এই খালে গরুর গোয়ালের বর্জ্য,কাঁচা টয়লেটের বর্জ্য এবং বস্তাভর্তি গোবর রাখার ফলে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
খাল উপচে অপরিষ্কার পানি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহি মের বাড়ির প্রবেশ পথ সয়লাব হয় এবং সামান্য বৃষ্টি হলে ই এই পথ দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বে শি দুর্ভোগ পোহাতে হয় অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ও তার শিশু নাতি নাতনীদের। সকলের আশংকা এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোন সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই বিষয়ে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, প্রতিবেশী শিকাব আলী প্রতিহিংসা বশত তাদের গরুর ব র্জ্য,টয়লেটের বর্জ্য ও বাড়ির সম্পূর্ণ বর্জ্য এই খালে ফে লে তাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। চিকিৎসক আমা কে নিয়মিত হাটাচলা করার পরামর্শ দিলেও অপরিষ্কা র ও দুর্গন্ধযুক্ত এই পানির উপরে চলাচল করতে গেলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাই হাটাচলা করতে পারেননা।তিনি আরও বলেন, এই অপরিষ্কার পানিতে এডিস মশা থাকতে পারে বিধায় সে পরিবারের সকল সদস্যসহ ডেঙ্গু রোগের আতঙ্কে বসবাস করছে।এসময় তিনি এই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এই বিষয়ে প্রতিবেশী শিকাব আলীর ছোট ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে তাদের বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তারা জায়গা ছেড়ে দিলে আমরাও আর পানি ফেলবো না।অন্যের বাড়িতে অপরিষ্কার পানি ফেলা অন্যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বর্ষাকাল ছাড়া এই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।