January 20, 2025, 12:50 pm
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

সীতাকুণ্ডে দিন দিন বেড়েই চলছে পুকুর ও দীঘি ভরাট

Reporter Name

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দিন দিন বেড়েই চলছে পুকুর ও দীঘি ভরাট।পরিকল্পিত ভাবে ভরাট করে বিলুপ্ত করা হচ্ছে দীঘি,পুকুর,জলাশয়,ডোবা,খাল,ছড়া সহ ফসলি জমি,
দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস,সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী, বিজি বি সহ সেচ্ছাসেবক দলের মোট ২৩টি ইউনিট রাত-দিন কাজ করে সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার ইউনিটেক্সের তুলার গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।এখানে যুদ্ধটি ছিলো আগুনের সাথে নয়,পানির সাথে।আশে-পাশে ছিলোনা পুকুর-জলাশয় এতে করে উদ্ধার কর্মীদের পানির জোগান দিতে হয়েছে দূর-দূরান্তর থেকে। আশে পাশে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছিলোনা কোন পুকুর তাই পর্যাপ্ত ফায়ার সরঞ্জাম ব্যবস্থা থাকার সত্ত্বেও শুধু মাত্র পানির সংকটে দ্রুত সময়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। সীতাকুণ্ডে এখন পুকুর পাওয়া দুষ্কর। পরিবেশ সম্মত পুকুর নেই বললেই চলে।সাম্প্রতিক সীতাকু্ণ্ড উপজেলার পন্থিছিলা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে শত-শত বছরের পুরনো সাগর দীঘি নামে খ্যাত বিশাল পুকুরটি রাত-দিন ধরে ভরাটের কাজ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে টিনের বেঁড়া দিয়ে ভেতরে চলছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের বিশাল আয়োজন। পুকুরে প্রায় এক-চর্তুথাংশ ভরাট প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। অনেকটা ওপেনসিক্রেটে চলছে এই পুকুর ভরা টের কাজ।দিনরাত কর্মযজ্ঞ করে,রাতের আধাঁরে সমুদ্র থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে শত শত ট্রাকে করে ফেলে ভরাট হচ্ছে পুকুর।একদিকে ট্রাকে বালু ফেল ছে অন্যদিকে স্কেভেটর দিয়ে লেভেল করার কাজ চলছে।

স্থানীয়রা জানান প্রায় ৩ একর ২৫ শতক এই পুকুর প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক ভাবে মাছ উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র ছিলো। বর্তমানে কারখানা মালিকদের লুলুপ দৃষ্টি পড়েছে এই পুকুরের উপর। শুধু পুকুর নয় আশে-পাশে ফসলি জমিও নষ্ট করা হচ্ছে বালি ভরাট করে। পুকুর ভরাটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কারখানার মালিকদের পরিবেশ ধ্বংসের কর্মকাণ্ড। ভবিষ্যতে এই এলাকায় তৈরী হবে অপ রিকল্পিত শিল্পায়ন। ঝুঁকির মুখে পড়বে পরিবেশ। আমরা এলাকাবসীও চিন্তিত। পরিবেশের ক্ষতিকরে শিল্পায়ন,বিএ মডিপো,সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ চাই না।এ বিষয়ে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদিউ ল আলম জসীমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি দীঘি বা পুকুর নয়,নালজমি।ভরাট করছে এস আলম গ্রুপ। দেখাশোনা করছি আমি।পরিবেশ অধিদ প্তরের ছাড়পত্র প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বদিউল আলম জসীম সময় নিয়ে দেখানোর কথা বলে,পরে তা দেখাতে পারেননি।তবে তিনি নাল জমি বললেও সীতাকুণ্ড মৌজার ,১৭২০ নং খতিয়ানে,স্পষ্ট পুকুর লিখা রয়েছে।

এবিষয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ারসার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মক র্তা নূরুল আলম দুলাল বলেন,সীতাকুণ্ড একটি ইন্ডাস্ট্রিয়া ল এলাকা এখানকার বেশির ভাগ কারখানার ফায়ার স্পেটি প্ল্যান নেই। তাই অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটলে পানি সংকটে আমাদে র হিমসিম খেতে হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়।যার প্রমাণ সাম্প্রতিক ইউনিটেক্সর তুলার গোডা উন। তাই পুকুর, জলাশয় ভরাট করা আইনানুগ অপরাধ। ভরাটকৃত স্থান পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।এবিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ শাহাদা ত হোসেন কে একাধিক বার মুঠোফোনে যো গাযোগ করার চেষ্ঠা করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দীন বলেন,আমরা এখনো এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। তিয়েন ও জায়গার ম্যাপ দেখে রিপোর্ট করবো।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST