সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রোকসানা আক্তার (২০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ বুধবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউ নিয়নের রহমতের পাড়া গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ী থেকে মৃতদে হটি উদ্ধার করা হয়।নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ অগ্নিদ্বগ্ধ হলেও তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতেরর চিহৃ রয়েছে। ফলে এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রোকসানা আক্তার উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকার রহমতের পাড়ার আনোয়ার কিবরিয়ার স্ত্রী ও উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাটস্থ নেভী রোডের বাসিন্দা নুর আলমের মেয়ে। গত এক বছর আগে বাঁশবাড়িয়ার আনোয়ার কিবরিয়ার সাথে তার বিবাহ হয়। বর্তমানে তিনি ৭-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ীতে আনোয়ার কিবরি য়ার পরিবারের সাথে তার ভাইয়ের পরিবারও বসবাস করছেন। জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে বড় ভাইয়ের সাথে বিরো ধের জেরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া রহমতের পাড়া গ্রামে গৃহবধূ রোকসানা আক্তারের অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ নিজ রুমে পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফা য়েল আহমেদ বলেন,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কুপিয়ে হত্যা করে বিছানায় মৃতদেহ রাখা হয়েছে এবং হাঁটু থেকে মাথা পর্যন্ত লেপ জাতীয় মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে কোন দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে।তারা প্রথ মে এটিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুন বলে প্রচারের চেষ্টা করেন। তবে ঘটনার আলামতে আমার সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে সুরতহাল করার সময় মৃতদেহের মাথার পিছনে ধারালো বস্তুর আঘাতে অন্তত ৩ ইঞ্চি গভীর দু’টি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। তখন আমি নিশ্চিত হই, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী, ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে।