নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলে ছেন, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে দেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে।বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিন সংসদে তিনি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।
তার এই নির্দেশনার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কাজ শুরু করেছে অর্থ বিভাগ। এই স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনো নাগরিক যদি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা জমা করেন, তাহলে তার বয়স ৬০ পার হলেই সরকার তাকে প্রতি মাসে পেনশন দেবে ৩২ হাজার টাকা। আর জমানো অর্থের পরিমাণ যদি এক হাজার টাকা হয়, তাহলে তিনি পাবেন ৬৪ হাজার টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এ কার্যক্রম ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস হয়েছে। শিগগির একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যেম এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে। আশ করা হচ্ছে আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে।’
কোনো ব্যক্তিকে মাসিক পেনশন–সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ধারাবাহিক ভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধা ভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এ কার্যক্রমে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যু হলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন।’
জানা গেছে, শুরুতে মডেল জেলা হিসেবে রাখা হতে পারে ঢাকা এবং দেশের অন্য যে কোনো একটি জেলাকে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মেয়াদ এক থেকে দুই বছর হতে পারে। এর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে পরে তা সারাদেশে বিস্তৃত করা হবে তবে শুরুর প্রক্রিয়াটি হবে সীমিত পরিসরে।
বিলে বলা হয়েছে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত এক বা একাধিক তফসিলি ব্যাংক জাতীয় পেনশন তহবিলের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করবে।
‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ সারাদেশে চালু হওয়ার পর অন্তত পাঁচ বছর তা ঐচ্ছিক রাখা হবে। পরে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।