নিজস্ব প্রতিবেদন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আহত ও ওই মামলার বাদী বদর আজিজ উদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ভুক্তভোগী বদর আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুন নাহারের নারাজি গ্রহণ করে এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ১ আগস্ট এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পূর্ব) উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. এরশাদ হোসেন অভিযোগ সত্য, তবে আসামিদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।এবং গ্রেপ্তারকৃত চার আসামিও জড়িত নয় মর্মে তাদের অব্যাহতি দেওয়াসহ মামলার তদন্ত বন্ধের আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিরুদ্ধেই নারাজি দাখিল করা হয়েছিল।
কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানার খুটিখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী বদর আজিজ উদ্দিন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়। এখনো তিনি শরীরে গ্রেনেডের স্পিন্টার বহন করে চলেছেন। ঘটনার পর ২০০৭ সালের ৫ জুন তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। আদালত মামলাটি থানায় দায়ের হওয়া মামলার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও প্রদান করেন। আদালতে ওই মামলা করার পর থেকে তিনি বিভিন্ন দিক থেকে হত্যার হুমকি পেতে থাকেন।
২০১৭ সালে তিনি যাত্রাবাড়ী থানাধীন পূর্ব শেখদী রহমাত সাহেবের বাড়ি থাকাকালীন ওই বছর ২৫ আগস্ট সকালে চাঁদপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে শেখদী আব্দুল্লাহ মোল্লা রোডে অবস্থিত ফার্নিচার কারখানার সামনে আসলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের মারাত্মক হামলার শিকার হন। দুস্কৃতিকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুড়ি দিয়ে পেটে ও পিঠে নয়টি আঘাত করেন। ১ মাস ১০ দিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী জান্নাতুন নাহার (৩৫) যাত্রাবাড়ী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।