January 20, 2025, 12:29 pm
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

৪ জন কৃতি নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ১টি প্রতিষ্ঠান কে সম্মাননা প্রদান করলো বিপিএসএ

Reporter Name

প্রথম বাংলা – বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আন্ত র্জাতিক নারী দিবস (৮ মার্চ) উপলক্ষে ৪ জন কৃতি নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়ে শন (বিপিএসএ)।সোমবার (১৩ মার্চ ২০২৩ খ্রি.) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজি পি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা প্রদান করেন।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের (বিপিএ সএ) সভাপতি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আই জিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার),পিপিএ ম (বার)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলা তুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিয়া হক।স্বাগ ত বক্তব্য রাখেন বিপিএসএ’র সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদু জ্জামান পিপিএম (বার)।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন আয়োজিত প্রথমবারের মতো এ সম্মাননা পান বাংলাদেশ পুলি শে প্রথম নারী বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি (অব:) ফাতেমা বেগম,প্রথম নারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত আইজিপি থাকাকালীন ইউএন মিশনে মৃত্যবরণকারী) রৌশন আরা বেগম পিপিএ ম,এনডিসি;আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম নারী পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি মিলি বিশ্বাস পিপিএম,প্রথম নারী পুলিশ পাইলট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাতে মা-তুজ-জোহরা ও বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটও য়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, নারী পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব চমৎকারভাবে পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে একজন সেবা প্রার্থী কে নারী পুলিশ সদস্য ছাড়া সেবা দিলে পুলিশের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ সকল ক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ কারণেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই পুলিশে চারজন ডিআইজি, ২৪ জন এডিশনাল ডিআইজি ও ৬৪ জন পুলিশ সুপারসহ ২৯৯ জন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। যা শতকরা হিসেবে প্রায় ১২ শতাংশ।

বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন ইউনিটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার সাফল্যের কথা তুলে ধরে আইজিপি বলেন,বিভিন্ন থানায় যে নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে সেখানেও নারী পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হয়েছে। ইউএন মিশনেও নারী পুলিশ সদস্যরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। একাত্মতা ও পেশাদারিত্ব সাথে দায়িত্ব পালন করার কারণে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ নারী পুলিশ সদস্যরা তাদের দক্ষতা প্রমাণ করে ছেন।

তিনি বলেন,আমাদের দেশে অর্ধেকের বেশি নারী। নারীদেরকে পিছনে রেখে কখনো একটা দেশ এগো তে পারে না। নারী-পুরুষ সবাই মিলে আমরা এগিয়ে যাবো। এমন একটি দিন আসুক যেদিন আর নারী দিবস পালন করতে হবে না। জেন্ডার বৈষম্যহী ন একটা সমাজ ব্যবস্থা সারা বিশ্বজুড়ে গড়ে উঠুক।জাতির পিতা বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সকল বীরকে স্মরণ করে শুভে চ্ছা বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার,পিপিএম বলেন,মার্চ মাস স্বাধী নতার মাস। এই মাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।

নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন,প্রান্তিক সমা জগোষ্ঠীও মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই ছিলো। কৃষি র প্রচলন হয়েছিলো নারীদের হাত দিয়েই,কিন্তু পুরু ষরা কোনভাবে কৌশলে সে কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিয়ে শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে কর্তৃত্ব নিয়ে তাদেরকে পিছনে ফেলে দেয়। এজন্য আজকে নারী দিবস নামে আলা দা দিবস পালন করতে হয়।

তিনি বলেন,এবছর নারী দিবসের যে প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এক্ষেত্রে নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কর্মক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। এসএ সসি,এইচএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অনেক এগিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে ১৪ জন নারীর যোগদানের মধ্য দিয়ে নারী পুলিশ সদস্যের যাত্রা শুরু হয়েছিলো,তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে তা এখন ১২ শতাংশ হয়েছে। দেশ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। ডিএম পির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারীর সেবা সহ মানসিক কাউন্সিলিং করে সেবা প্রদানে সহযো গিতা করছে।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন,নারীরা কখনো মা,কখনো স্ত্রী,বোন,কন্যা,সব মিলিয়ে নারীর যে ভূমিকা সেটা প্রতিটা পরিবারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর ইতিহা স,এমনকি নিকটতম ইতিহাস যদি দেখি সেখানে কোন বৈষম্যই ছিল না। এমনকি মঙ্গোলীয় সভ্যতা তেও নারীরা নেতা হিসেবে কাজ করতেন। এখন যে জেন্ডার বৈষম্য সেটা বর্তমান সমাজের সৃষ্টি।

বেগম রোকেয়ার কথার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, গরুর গাড়ির শকট অর্থাৎ চাকা যদি একটি ছোট হয় আরেকটি বড় হয় তাহলে সেটা একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথেই ঘুরতে থাকবে। ঠিক তেমনিভাবে শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের নারী এবং পুরুষের বৈষম্য যদি বেশি থাকে তাহলে সমস্ত কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব পড়বে, সামনে এগোতে পারবে না।তিনি বলেন, পুলিশের চাকরিটাই হলো চ্যালেঞ্জিং। ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় আজকের এ সম্মাননা পুলিশে যারা নারী সদস্য আছেন এবং ভবিষ্যতে যারা আসবেন তাদের কে প্রচন্ডভাবে অনুপ্রাণিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নারীদেরকেও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনায় নান্দনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশি ত হয়। অডিও ভিজুয়ালে দেখানো হয় বাংলাদেশ পুলিশে নারীর অবদান ও গৌরবময় কৃতিত্ব।অনুষ্ঠা নে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী,বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দ,নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST