ইকরামুল হক কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
চকরিয়া উপজেলার মানিকপুরে আধিপত্যকে কেন্দ্র ক রে শফিউল আলম চৌকিদার ও সেলিম খুনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি দেখা দিয়েছে।পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে পুরুষ শুন্য বাড়ীতে বাদী ও তার সহযোগীরা লুটতরাজ চালাচ্ছে।নিহতদের প্রতি গ্রামবাসীর সহানুভূতিকে পুঁজি করে বাদীগং নিরীহ লোকজনের ঘরের আসবাবপত্র, দোকান ও গরু-ছাগল সহ ৭ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেছে দাবী করে একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি গ্রেফতারে প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে আসলেও মামলার বাদিপ ক্ষ নেমেছে সম্পূরক মামলায় আরো আসামি করারহুম কি দিয়ে নিরীহের কাছ থেকে টাকা হাতানোর মিশনে। টাকা দাবি করে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে হাম লা চালিয়ে নবাব মিয়া নামের এক নিরীহ ব্যক্তির বসত ঘরে হামলা তান্ডব চালিয়ে পালিত গরু ছাগল, ১০ বাণ্ডিল,
তামাক পাতা, বাড়ির চেয়ার টেবিল,খাট আলমিরা ও ফ্রিজসহ ক্রোকারিজ সহ ৭ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, সামশুল আলম (৪৬) ও নুর মোহাম্মদ (৬৪) কর্তৃক দায়েরকৃত হত্যা মামলা নং- ২৪,তারিখ- ১৯ এপ্রিল,২০২৪ইং,জিআর মামলানং – ১৪৭/২০২৪ইং (চকরিয়া) ধারা-১৪৩/৩২৬/৩০৭/৩০ ২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। মামলায় ৭ জন বিবাদীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলেও আদালতে সম্পুর ক আবেদনে আরো ৭ জনকে আসামী করে আবেদন করেছেন বাদী।
যারা নিরীহগোছের ব্যাংকার ও ব্যবসায়ি যারা এ ঘটনা য় সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল নয়। যাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে বাদীসাম শুল আলম ও নুর মোহাম্মদ গংয়ের বিরোদ্ধে। বসতবা ড়িতে হামলা ও লুটপাটের এ ঘটনায় গত ২ মেচকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা রুজু করেছেন ভুক্তভোগী নবাব মিয়ার মাতা ছমুদা বেগম (৬০)
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু। তিনি বলেন, মামলার এজাহারে বাদি ৭ জন আসামির নামোল্লেখ করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা ও চকরিয়া আদালতের সি নিয়র আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার বাচ্চু বলেন,এই হত্যাকান্ডের ঘটনাকে পুজিঁ করে বাদীপক্ষে র লোকজন এলাকায় ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি করেছে। চাঁদা না দিলে নিরীহ লোকজনকে দায়েরকৃত হত্যা মাম লায় আসামি হিসেবে সম্পৃক্ত করতে সম্পুরক আবেদ ন করা হচ্ছে। এর ফলে চাঁদা দিতে অপারগ বা ঘটনায় কোনমতেই জড়িত নন, এলাকার এমন শতাধিক লোক বর্তমানে আতংকে এলাকা ছেড়েছে।
জানতে চাইলে মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে চাঁ দা দাবি ও নিরীহ লোকজনের বাড়িঘরে হামলার অভি যোগ অস্বীকার করেছেন হত্যা মামলার বাদি ও নিহত চৌকিদার শফিউল আলমের ভাই শামসুল আলম। তিনি বলেন, আমার ভাইসহ দুইজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিরা মামলা থেকে রেহাই পেতে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। তাদের কাছ থেকে কোনধরনের টাকা চাইনি এবং তাদের বাড়িঘরে আমরা হামলা করিনি। মুলত তাঁরা নিজেরাই তাদের ঘরে হামলা নাটক তৈরি করে এসব চক্রান্ত করেছেন।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শে খ মোহাম্মদ আলী বলেন,হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও সম্পুরক এজাহারে বাদি সন্দেভাজনদে র আসামি করতে পারেন।কিন্তু পুলিশের তদন্তে ঘটনা য় জড়িত নেই, এমন কাউকে মামলায় জড়ানো হবে না এটা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।
উল্লেখ্য, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় মেম্বার জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত দূর্বৃত্ত গত ১৬ এপ্রিল রাতে একটি দোকানে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে শফিউল আলম চৌকিদার ও গেল ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী মো; সেলিমকে হত্যা করে।
এ ঘটনার পর গত ১৯ এপ্রিল নিহত শফিউল আলম চৌকিদারের ভাই সামশুল আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন চকরিয়া থানার এসআই মানিক কুমার।