ইকরামুল হক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
মহেশখালী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের ২২ কোটি টা কার উন্নয়ন কাজ শুরু করেই লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদা র আসাদুল্লাহ। বিক্রী করে দিয়েছেন একই ব্যক্তির মালিকানাধীন অপর ঠিকাদারী ফার্মের (লিপি-আসাদ কনস্ট্রাক্সন) চালিয়াতলী-জনতাবাজার সড়কের ৭ কো টি টাকা মুল্যের দুইটি ব্রীজের নির্মান কাজও।
আসাদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামের নির্মানাধীন প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ায় বিপাকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং “এলজিইড়ি”র প্রকৌশল বিভাগেওঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায়, “গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল” এমন ভাব ঠিকাদার আসাদুল্লাহর। ফলে ভাঙ্গাচুরা এবড়োথেবোড়ো সড়কই এখন ভরসা টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মহেশখালী-মাতারবাড়ীর জনগন ও ব্যবসায়িদের। একটু বৃষ্টি হলেই সঙ্গে রাখতে হয় এক্ট্রা সার্ট-পেন্ট-লুঙ্গি।
সরেজমিনে জানাযায়, চলমান ২২ কোটি টাকার উন্নয় ন কাজ চলাকালেই গত বছরের ১১ নভেম্বর মাতারবা ড়ীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সংবাদে ধীরগতি র কাজে হঠাৎ গতি এসেছিলো। ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের টাকার দয়ায় সড়কে ভোগান্তির জিম্মিদশা থেকে সাম য়িক মুক্তি পেয়েছিলো ধলঘাট- মাতারবাড়ীবাসী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যাবার পরে ওই সড়কের কাজ ফেলে পালা য় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আসাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার আসাদুল্লাহ।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এলজিইডি অসহায় এমনই জানান সড়কের ভুক্তভোগীরা এ অবস্থায় এলজিইড়ি কিংবা জন প্রতিনিধি কেউ মুখ খুলছেন না। ফলে সীমাহীন সড়ক যন্ত্রণা লেগেই আছে।বৃষ্টিতে গর্ত আবার গরমে ধুলাবালি উড়ে পড়ছে লবণমাঠে, ঘামের ফোঁটায় উৎপাদিত লবণে ধুলাবালি থাকার কারণে ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হচ্ছেন চাষীরা।
ঠিকাদার আসাদ উল্লাহ’র কাছে সড়কের এমন দূরাবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল না পেয়ে কাজ বন্ধ করেছেন। এছাড়া ওই কাজ তিনি আর করবে না জবাব দেন।
স্থানীয়রা জানান,
কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে খানাখন্দকে ভরা সড়কে স্বাভাবিক চলাচল অনেক টা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবুও বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করে আসছিলো ভুক্তভোগী মানুষগুলো।
বর্তমানে নানা অজুহাতে আসাদ এন্টারপ্রাইজ কালক্ষেপণের ফলে বর্ষা মৌসুমে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকায় স্থানীয়রা। ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি কাজ পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন খান’এলজিইডিকক্সবাজা রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে এখন কোন কথা বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেন। যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ওই সড়কে জরুরি মেরামতের শ্রমিক খরচ বাবদ আসাদ এন্টারপ্রাইজ এর জন্য অর্ধকোটি টাকার লেনদেনের লুটপাটের কাহিনী মানুষের মুখে মুখে ।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার” এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সত্তর ভাগ কাজ শেষ হয়েছে দাবী করলে ও দৃশ্যমান কোন কাজ না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার আসাদ উল্লাহ। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন মাতারবাড়ীবাসী।