এসেছিলে তুমি অথিতি পাখির মতো_
করেছিলে তুমি আমার সনে,প্রতিঙ্গা আছে যতো।
এসেছিলে তুমি একদিন_
তিস্তা পাড় থেকে।
মনে পড়ে সেই দিনের কথা?
ঐ যে শ্যামলী ফুটওভার ব্রিজের নিচে?
দাড়িয়ে ছিলেম আমি তোমার অপেক্ষাতে।
এসেছিলে তুমি অথিতি পাখির মতো উরে,
ধরেছিলে ডান হাতটা মোর শক্ত করে।
বলেছিলে তুমি ভালোবাসো মোরে।
বাঁ হাতে তোমার কাপড়ের ব্যাগটা নিয়ে_ ডান হাতে তোমায় শক্তকরে ধরে হেটেছিলাম ফুটওভার ব্রিজের পথ ধরে।
যাত্রপথে অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম ভিষন আমি_ ক্লান্ত দেহখানি হেলিয়ে দিয়েছিলাম তোর কোলে, দু’হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে জরিয়ে ধরেছিলে মোরে।
কখন যে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছিলাম তোর কোলে?
তোর হাতপাখার বাতাসে।
কিছুদুর যেতেই, হঠাৎ করে গাড়ির ঝাঁকিতে ঘুমটা গেলো ভেঙে।
শরীরটা একটু সুস্থ লাগছে, তাই তো কতশত খুনসুটি তোর সাথে_
মাথা রেখে তোর কোলে।
কাঁচামাটির ঘড়খানিতে,
তোর আর আমার থাকা।
মধুর মিলনে শত খুনসুটিতে,
তোর সাথে শুরু হয়েছিলো মোর পথ চলা।
স্ত্রী তাহাকে হত্যা করে,
দিয়েছিলো ফেলে বুড়িগঙ্গা নদে।
কিছুদিন পরে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফারি_আসলামের পঁচিতগলিত লাশ উদ্ধার করে।
আকৃতি বিহীন লাশ কি ভাবে সনাক্ত করবে?
যশোর থেকে এসেছিলো আসলামের মা,
নিজ সন্তান ফিরে পেতে।
মনে পরে সেদিনের কথা?
সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের ঘাটে_ তুই আমি পাশাপাশি বসে,
করেছিলাম কতশত পরিকল্পনা।
মনে পড়ে সেই শুক্রবারের কথা?
এক অসুভ শক্তি ভেঙ্গে দিয়েছিলো তোর হৃদয়-
সেই কাঁচামাটি ঘরে_তোকে শক্তকরে জরিয়ে ধরে বুকে তোর মাথা রেখে, বলেছিলাম তোকে কখনোই ছেরে যাবোনা।
সেখান থেকে দিলাম পাড়ি মাদারীপুরের পথে।
সেখানে ছিলো খান সাহেবে_ গিয়েছিলাম তার আমন্ত্রণে।
সেথায় গিয়ে তাদের সাথে কিছুটাদিন থাকা।
অন্যের বাড়ি তোকে তেমন সময় দিতে পাড়িনা।
এই নিয়ে ঝগড়া একদিন খুব ভোরে,
ঘুম ঘুম চোখে বলেছিলাম তোকে আমার লাগবেনা।
অন্যের কানপড়া, অভিমানে গিয়েছিলে তুমি আমায় ছেরে বহুদুরে।
মনে পরে সেই দিনগুলো?
রাসেলের খালাবাড়ি,
রসমাখালো চিতই পিঠা।
বাচ্চু ভাইয়ের বাড়ি কাজীর ভাত,
আর হরেক রকম ভর্তা?
রাসেলের সাথে_ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, কখনো বিয়ে বাড়ি আবার
কখনো সুন্নতে খাৎনা।
১১/১২/২০২২ইং
পর্ব ১