May 20, 2024, 4:39 pm
শিরোনামঃ
পুলিশ যথাযথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম – আইজিপি ডিবি পুলিশের অভিযানে ময়মনসিংহে ৫ হেরোইন ব্যবসায়ী গ্রেফতার প্রাইভেট পড়ানোর নামে স্কুল ছাত্রদের সাথে বিকৃত যৌনাচার; শিক্ষক গ্রেফতার- সিআইডি মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর আচরণ বিধি লঙ্ঘনই মোটরসাইকেল মার্কার প্রচারণার কৌশল পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে – আইজিপি ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান; গ্রেফতার ২০ জন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

দূর্ণীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

Reporter Name

নূর মোহাম্মদঃ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক‌ই পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য (মেম্বার) অনাস্থা দিয়েছেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দের কাছে লিখিতভাবে এ অনাস্থার চিঠি দেওয়া হয়। এতে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বেপরোয়া আচরণ এবং ৭ মাসে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধরেন।

এদিকে ওই চেয়ারম্যান দাবি করছেন, প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদেরকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনাস্থা চিঠিতে ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন ময়ুর, মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া, গোলাম মাওলা, মো. ইব্রাহিম, ইব্রাহিম, মো. কামরুজ্জামান, জাবের হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জোসনা বেগম, কল্পনা রানী নাথ ও ইসরাত জাহান সই করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতি-দরিদ্রের কর্মসংস্থান খাতের ৮২ জন শ্রমিকের নামে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা ওয়াহিদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা কিছুই জানেন না। টিআর, কাবিখার ১০ লাখ টাকা, ৭ মাসে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।

এসব ক্ষেত্রে কত টাকা জমা হয়েছে-তাও নির্দিষ্টভাবে জানান না তিনি। পরিষদের বিভিন্ন নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সচিব মিজানুর রহমানকে মারধর করতে উদ্যত হন। তিনি পরিষদের সদস্যদের সঙ্গেও বেপরোয়া আচরণ করেন। পরিষদের কক্ষ ঠিকাদারদের কাছে ভাড়া দিয়ে ১০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন।

কিন্তু ওই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা জমা দেননি।সালিস বাণিজ্যের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সদস্যদের সঙ্গে সভা না করেই তিনি এডিপি খাতে ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের তালিকা জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে ইতিমধ্যে উন্নয়ন খাতের ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বরাদ্দ ফেরত গেছে। এরআগে চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগে তাঁকে অনাস্থা দেওয়া হয়েছিল।

ওই পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন ময়ুর বলেন, ২৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের সদস্যদের নিয়ে কোন সভা করা হয়নি। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করেন।

বরাদ্ধ সঠিকভাবে বন্টন করেন না। আমাদের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন। এসব অনিয়মের কারণেই বাধ্য হয়েই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।

পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। ইউপি সচিব মিজানুর রহমান জনগনকে হয়রানি করছেন। আমি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।

তিনি (সচিব) প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অনাস্থা দিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান খামখেয়ালি-বেপরোয়া কথাবার্তা বলেন। তিনি কারো সঙ্গে সমন্বয় করেন না। এতে ইউনিয়নের লোকজন সেবা ও উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, অনাস্থার চিঠিটি পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে এটি তদন্তের জন্য দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page