রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক বেলায়েত হোসেন এ আদেশ দেন।
এতে আগামী ৭ নভেম্বর চেয়ারম্যান মানিককে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানিকের বাড়ি কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ গ্রামে।
মামলার বাদী জসিম একই ইউনিয়নের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রাম্য চিকিৎসক। স্থানীয় বাজারের ওষুধের ফার্মেরি রয়েছে তার।
বাদীর আইনজীবী রেহানুল ইসলাম বলেন, পল্লী চিকিৎসক জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মানিকের নামে মামলা দায়ের করেন। এতে আদালত সমন জারি করেছেন। এর আগে ১ আগস্ট বাদীর টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অভিযুক্তকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মানিক ও জসিমের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জসিমের কাছ থেকে মানিক পাঁচ লাখ টাকা ধার নেন। গত ১২ এপ্রিল ওই টাকা নগদ না দিয়ে মানিক তার অগ্রণী ব্যাংক হিসাবের (নং০২০০০১৫৫১০৯৬০, দাসেরহাট শাখা) একটি চেক (নং-১২০১, ৯১৬৬৭৪৩) জসিমকে দেন।
২৮ জুলাই চেক নগদায়নের জন্য জসিম জমা দেন কিন্তু মানিকের ব্যাংক হিসেবে কোনো টাকা ছিল না। এতে চেকটি কর্তৃপক্ষ ডিজঅনার করে। এতে টাকা ফেরত পেতে ১ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এরপরও তিনি টাকা ফেরত দেননি।
বাদী জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাংক হিসেবে টাকা না থাকা সত্ত্বেও মানিক প্রতারণার উদ্দেশে আমাকে চেক দিয়েছে। বারবার টাকা চেয়েও তার কাছ থেকে আদায় করা যায়নি। এতে বাধ্য হয়েই আদালতের স্মরণাপন্ন হলাম।
কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেহ উদ্দিন মানিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় এ নিয়ে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।