May 13, 2024, 1:44 pm
শিরোনামঃ
তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলীর ঘুষ-বানিজ্য ডিআইজি বরাবর অভিযোগ দায়ের সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুস্তাক আহমেদের মতবিনিময় জন-দুর্ভোগ চরমে-“মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে রানিং বিল নিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা: কাস্টমসে তোলপাড় গোয়েন্দার আটকে দেওয়া মার্সিডিজ গোপনে খালাস দূরারোগ্য কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত আনিসুরের পাশে দাঁড়ালেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাল বৈশাখী ঝড়ে ভেঙে গেছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাবিটার ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ দুদকের মামলা ধান ও চালের মানে আপস করা হবে না – খাদ্যমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনী মাঠে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি এ্যাড. শেখ আব্দুল হামিদ লাভলুর নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা, কর্তৃপক্ষ নিরব

Reporter Name

মাসুদ লস্কর,

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে পলিথিনের ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশ করেছে।
হাত বাড়ালেই হাতের কাছে পলিথিন। চাল,ডাল থেকে শুরু করে যে কোন কিছু কিনতে গেলেই তা নিষিদ্ধ পলিথিনে ভড়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা শক্তি ও নষ্ট হচ্ছে।
দেশে ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাত করনের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে পলিথিন উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান পরিচালনা করে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত কারী দের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন রকমের শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকেন।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিয়মিত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটা সিন্ডিকেট অবাধে এই নিষিদ্ধ পলিথিন পুরো মাধবপুর উপজেলায় নির্বিঘ্নে সরবরহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে,যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় মাধবপুর পৌর শহরের পুরাতন গরুর বাজারে রীতিমত গোডাউন ভাড়া করে নির্বিঘ্নে এই নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।
নিষিদ্ধ পলিথিনের অবাধ সরবরাহ সম্পর্কে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য মোহন মিয়া প্রতিবেদককে বলেন “গত ২৬ বছরে কোন সাংবাদিক পলিথিন নিয়ে কথা বলতে আসেনি। অথচ আপনি ? এই বলে তিনি লাইন কেটে দেন।
পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন ” বিভিন্ন গবেষণায় মাটি ও পানিতে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে মিলেছে এর উপস্থিতি। পলিথিনের ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে। এই মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের আহবান জানা তিনি।
পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান টুকু বলেন এ ব্যাপারে আমি মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করব।

জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খাঁন বলেন,এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম ফয়সাল বলেন,এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরে কথা বলে ওদের পরিদর্শক নিয়ে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page