January 20, 2025, 12:48 pm
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

অফিস সহকারী থেকে সহকারী সচিব পদ তৈরি করে শত কোটি টাকার মালিক আমিনুল ইসলাম

Reporter Name

স্টাফ রিপোর্টার – ২০০৫ সালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন আমিনুল ইসলাম ওর ফে জাহাঙ্গীর। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর চাকরিতে স্থায়ী হন দ্রুতই পাল্টে যায় তার ভাগ্য।চাক রির শুরুতে আমিনুলের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল বলে একাধিক সূত্র এ প্রতিবেদককে জানালেও এখন তার বিলাসী জীবন; কী নেই তার, যেন হাতে পেয়েছেন আলাদীনের চেরাগ!

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,সূচতুর আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটুর আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।তারপরে আর আমিনুলকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাতারাতি মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডার থেকে শুরু করে ও পৌরসভা থাকাকালীন নকশা অনুমোদন, বিভিন্ন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের, অটোরিকশার লাইসেন্সসহ সকল দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন আমিনুল। মুখে মুখে অভিযোগ,

এসব করতে করতেই শতকোটি টাকার মালিক হয়ে যান তিনি সিটি কর্পোরেশনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গড়ে তোলেন এক একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী গ্রুপ,যাদের মাধ্যমে পুরো সিটি কর্পো রেশন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। অনুসন্ধান কালে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন, আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর শম্বুগঞ্জ পীর বাড়ি রোডে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। অনুসন্ধানকালে প্রতিবেদক জানতে পারেন ময়মনসিংহ টাউন সংলগ্ন হল হোটেল মোস্তাফিজ এর পাশে আমিনুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন ২০ তালা ভবন। বিষয়টা আমিনুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবনটি ৬৮ জন শেয়ারে মিলে করেছি।

কিন্তু স্থানীয়রা জানায়,ভবনটির মালিক একমাত্র আমিনুল ইসলা ম বিভিন্ন লোকের কাছে তিনি কয়েকটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান স্থানীয়রা।

এছাড়াও হোল্ডিং নং ৭ ও ৮ মদন বাবু রোডের আমপট্টি সদরে বর্তমানে ২০ তলা ভবনের নির্মাণের কাজ চলছে আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীরর কর্তৃত্বে। অনুসন্ধান কালে আরও জানা যায়, ৩৮ নং হোল্ডিং এ আমিনুল ইসলাম ১৮ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন।পাার্শবর্তী ভবনে আমিনুল ইসলামের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমিনুল ইসলামের আরো দুইটি ১০ তলা ভবন রয়েছে।

এ সকল বিষয়সহ ঢাকার একটি দৈনিক এও ‘সহকারী সচিব আমিনুল ইসলামের ৫০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ময়ম নসিংহের স্থানীয় পত্রিকায় ‘নগর ভবনে জন্ম নিবন্ধনে মানুষের ভোগান্তি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়াও সাপ্তাহিক আলো পত্রিকায় হুন্ডির মাধ্যমে শতকোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

আমিনুল ইসলামের সিন্ডিকেটের ভয়ে অনেক স্থানীয় সংবাদক র্মী তার কোন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস পায় না। অনুসন্ধানকালে আরও জানা যায়, আমিনুল ইসলাম জোরপূর্বক সাধারণ মানুষের রেকর্ডীয় ভূমির উপর দিয়ে তার নিজের স্বার্থে ড্রেন ব্যবস্থার কার্যক্রম করতে গিয়ে রেকর্ডিয় জায়গায় না করে শত শত মানুষের ঘরবাড়ির উপর দিয়ে কাজ শুরু করতেগেলে স্থানীয়রা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিপিটেশন দায়ের করেন, যার নং ১৬২৬৭/২০২৩। মহামান্য আদালত সিটি কর্পোরেশনকে ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আদেশ প্রদান করেন।

অনুসন্ধানকালে আরও জানা যায়,একই ব্যক্তি বেশ কয়েকটি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে,যেমন,সিটি কর্পোরেশনের ভিতর নক শা অনুমোদন,টেন্ডার,অটো রিক্সার লাইসেন্সসহ বেশ কয়েকটি দায়িত্ব একাই পালন করে যাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম।মাত্রকয়েক বছর চাকরির বয়সে শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ গড়ে তুলেছেন চলতি দায়িত্বে কর্মরত আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।

তার বিরুদ্ধে লেখালেখি করলে নেমে আসে মামলা সহ শারীরি ক নির্যাতন নিপীড়ন।এত শক্তির উৎস কোথায় আমিনুলইসলাম জাহাঙ্গীরের,এ প্রশ্ন ঘুরছে ময়মনসিংহের জনমনে।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST