স্টাফ রিপোর্টারঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভার পদে চাকুরী করে এর পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইফুল ইসলাম হয়েছেন কোটি পতি। অঢেল সম্পদ করেছেন, সাভার, কেরানিগঞ্জ ও ভোলায়মন্ত্রণালয়ের প্রভাব খাটিয়ে মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডে চালাচ্ছেন সর্ব রোগের মোল্লা বনাজি নামক অবৈধ ঔষধের রমরমা বানিজ্য।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার হলেও মোহাম্মদপুরে পরিচয় দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে । তার স্ত্রী আনোয়ারাও এ বিষাক্ত কামিক্যাল মিশ্রনে মোল্লা বানাজি ঔষধ বিক্রয়ের কাজে জড়িত।এ অবৈধ ঔষধে হুমকির মুখে এর ভোক্তাদের জনস্বাস্থ্য শিক্ষা-প্রশিক্ষণ বিহীন রফিজুল ইসলাম (সাইফুলের বাবা) সর্ব রোগের এ সকল ঔষধ তৈরী করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওয়াই/১৩-বি, নুরজাহান রোড, থানা-মোহাম্মদপুর,ঢাকা-১২০৭ হোল্ডিং এ কবিরাজী চিকিৎসার নামে ভয়ংকর এ প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে সাইফুলের পরিবার।সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা এতে বছরে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসার নামে প্রতারিত হয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে।
মোহাম্মদ রফিজুল ইসলাম এবং তার সহকারী খালেদা, রতন, রাহিমুল, রাবেয়াসহ আরো অনেকে জনস্বাস্থ্য বিনাশকারী ঔষধ তৈরীতে সহযোগীতা করছেন। বাবা – ছেলে মিলে কবিরাজী চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে সহায় সম্পত্তিতে এখন আংগুল ফুলে কলা গাছ,ঢাকা সহ কয়েক স্থানে বিশাল বিত্ত-বৈভব গড়ে তুলেছেন।স্থানীয় লোকজন তার এই কাজের বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না তার ক্ষমতাধর ড্রাইভার সাইফুল ইসলামের দাপটে সে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার হলেও পরিচয় দিয়ে বেড়ায় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে। সে অত্যন্ত কৌশলে তার পিতার সাথে কবি রাজী ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানা যায় ।
জানা যায়,এই অশিক্ষিত কবিরাজ মোহাম্মদ রফিজুল ইসলাম ভোলা জেলার ইলিশা ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা ছিলো। জীবিকার তাগিদে বহু বছর আগে ঢাকায় এসে একটি স্কুলের নাইট গার্ডের চাকুরী নেয়।চাকুরী সুবাদে কিছু লোকের সাথে পরিচিত হয়ে অশিক্ষিত,অল্প শিক্ষিত মানুষের আবেগকে কাজে খাটিয়ে ডাব পরার নামে জন্ডিসের চিকিৎসা শুরু করে। ডাব পরা চিকিৎসা প্রসারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় কিছু দালালনিয়ো গ করে ব্যাপক প্রচারনা চালায়।অল্প দিনের মধ্যে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয় নি রোগী সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলে তার প্রতারনাপূর্ন চিকিৎসার পরিধিও বাড়তে থাকে। জন্ডিসের চিকিৎসার সাথে দূর্বলতা,যৌন চিকিৎসা,নারীদের নানাবিধ শারী রিক সমস্যা ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের বিষাক্ত ক্যামিক্যাল ও রং এর ব্যবহার করে হরেক রকম হালুয়া তৈরী করে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে। যা তার বাসা তল্লাশি করলে বেড়িয়ে আসবে।
রোগী পরিচয়ে কবিরাজ রফিজুল ইসলামকে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করেন তার স্ত্রী,তিনি কবিরাজ সাহেব কখন বসেন ও কি কি চিকিৎসা করেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি চিকিৎসা নিতে হলে খুব সকালে আসতে হবে। সকল আটটার পর কবিরাজ সাহেব রোগী দেখেন না।তবে বিকালে কিছু সময় রোগী দেখেন। কি কি চিকিৎসা করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক রোগের চিকিৎসা করেন আসলেই জানতে পারবেন।
এছাড়া প্রতারক এই কবিরাজ দোকানে সাইন বোর্ডে মডার্ন হার বালের ঔষধ বিক্রির আড়ালে ইন্ডিয়ান এবং দেশী ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা জাতীয় ঔষধ সমূহের সাথে বিষাক্ত রং ও ক্যামিক্যাল মিশ্রন করে যৌন উত্তেজক বড়ি তৈরী করে উচ্চ মূল্য বিক্রি করে হাজার হাজার সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার তার এই কাজে ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছে তার ছেলে সরকারি চাকুরীতে কর্মরত (ড্রাইভার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী আনোয়ারা।
কোন রোগী এই অপচচিকিৎসা অসুস্হ হয়ে তাদের কাছে আস লে সাইফুল তার নিয়ন্ত্রিত কেডারদের মাধ্যমে ভয় ভীতি দেখা তো যাতে ভূক্তভোগী রোগী কোন প্রকারে মুখ খুলতে সাহস না পায়।
এদিকে, সাইফুল খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভার পদে চাকুরীর সুবাদে আ. লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খোজ খবর জানেনতাকে তদন্তের আওতায় আনা হলে বহু রাগব-বোয়ালদের দূর্নীতির বাস্তব চিত্রও বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
জানা যায় খাদ্য বিভাগের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও এলএসডিতে খাদ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)পদে পোস্টিং পেতে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যে হয়ে থাকে যেমন টাংগাইল,শেরপুর, নেত্রকোনা,জামালপুর,ও কিশোরগঞ্জ জেলার বদলি ও পোস্টিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে মন্ত্রণালয়,খাদ্য অধিদপ্তর ও খাদ্য পরিদর্শক সমিতির দুই নেতা।
ঐ সিন্ডিকেট এর মধ্যস্হতায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর ও শ্যামগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিএলএসডি পদে মোখলেছুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম অর্ধকোটি টাকা দিয়ে পোস্টিং নিয়েছেন একটি সুত্র জানায়।