প্রথম বাংলা – ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, দেশে এক সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা ছিল। আমরা রাজশাহীতে বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেখেছি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে আমরা সবাই মিলে একযোগে একসাথে কাজ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ঈর্ষণীয় সাফল্যের ফলে দেশে স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা বিরাজ করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আইজিপি মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
আরএমপি কমিশনার বিল্পব বিজয় তালুকদার বিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজি) মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা বিপিএম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল খালেক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল খালেক, রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান পিপিএম (বার), রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, আরএমপি ও রাজশাহী রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জনাব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা দায়িত্ব পালনে কখনো কুন্ঠাবোধ করেনি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী ‘স্মার্ট পুলিশ’ গঠনেও আমরা কাজ করছি।
রাজশাহীর নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা পুলিশের কাজে সহযোগিতা করেছেন, সমর্থন যুগিয়েছেন, আস্থা রেখেছেন বলেই এই নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরএমপির অগ্রযাত্রা সাধিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতেও আপনাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আইজিপি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাবে।
আইজিপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ স্মরণিকা ‘দৌবারিক’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে আরএমপির জনমুখী কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে কেক কাটা হয়।
এর আগে আইজিপি সকালে আরএমপি হেডকোয়ার্টার্স চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আরএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয় । আইজিপি আরএমপি হেডকোয়ার্টার্স চত্বরে একটি গাছের চারা রোপন করেন।
উল্লেখ্য, চারটি থানা নিয়ে ১৯৯২ সালের ১ জুলাই আরএমপি গঠিত হয়। বর্তমানে ৪৭২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আরএমপির থানার সংখ্যা ১২।
পরে বিকালে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম এবং পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী জেলা পুলিশ লাইনসে আরএমপি ও রাজশাহী জেলা পুলিশ আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।