প্রথম বাংলা-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল”
এর আগে, সকালে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হকসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়। এ সময় শুনানি শেষে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দ্রুত আলামত সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন সাবেক ওসি মাজহারুল হক।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত আমাকে ৩০ সেকেন্ড সময় দিন। এটি যদি আমি না বলতে পারি তাহলে আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হব’।
আদালত সম্মতি দিলে গুলশান থানার সাবেক ওসি বলেন, ‘ঐদিন আমার থানা থেকে একটি গুলিও করা হয়নি। সেখানে র্যাব, বিজিবি ও এপিবিএন ছিল। গুলশান আবাসিক এলাকায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেসব ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
তার এ কথা শুনে আদালত বলেন, আমরা এখন এসব কথা শুনছি না। এগুলো পরে বলবেন। পরে আপনাদের এসব কথা শোনা হবে।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামআদালত কে অনুরোধ করেন যেন তার কথা শেষ করতে দেওয়া হয়। পরে আদালত আবার অনুমতি দিলে গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল বলেন, আমি আশঙ্কা করছি এসব আলামত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য আবেদন করছি। না হলে আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারি।
মাজহারুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে আদালত উপস্থিত প্রসিকিউশনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
(ফাইল ছবি)