স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহে অসহায় এক পরিবারের সদস্য হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া কাজল নামের একজনকে দের লাখ টাকা না দিলে মাদক মামলায় ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দেন এবং বসতবাড়ি বিক্রির জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে কোতোয়ালি থানায় কর্মরত এসআই মাসুদ জামালির বিরুদ্ধে।
এসআই মাসুদ জামালি কাজলকে ফোন করে বলেন, টেহা বাও ওইছে, কাজল বলেন আমি টেহা কইত্তে দেম। টেহা কইত্তে দিবে এটা আমার দেহার দরকার নাই। মাদক ব্যবসা করতাসোস কাম করতাসোস সমস্যাটা কি, এহন টেহা বাও হইছে কি না এটা জানবার চাই। টেহা কইত্তেদেম স্যার, টেহা বাও করে দিবি। এহন যদি আমারে মাইরাও ফালাইন টেহা দিবার পাইতাম না স্যার। তাইলে আমি আমার কাম করমো, এটা মনে রাখিস। যদি আমি কোন অন্যায় করে থাকি আমারে যত্তানি মন চায় তত্তানি জুতাদিয়া বাইরাইন। আমি জুতা দিয়া বাইরামু না ১০টা মামলা দিমু বলে দিতাছি। এহনও বলতাছি, মনে কর যে জেই কয় মাস চাকরি করি মাসে ৪ টা কইরা মামলা দিমু আর যেদিন দরমু ওইদিন তরে সহ মামলা দিমু।
একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের এই এসআই এর বিরুদ্ধে, গত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ময়মনসিংহে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঢাকার এক ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে মামলাদেন। পরে ওই ব্যক্তি মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে বেড়িয়ে আদালতে এসআই মাছুদ জামালীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলা থেকে বাঁচতে বাদিকে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা হন তিনি। তার পর এসব কর্মকান্ডের ঘটনায় জড়িত হওয়ার কারণে পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা থেকে তাকে বদলি করা হয়।
এরপর বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে পুনরায় কোতোয়ালি থানায় আসেন এসআই মাছুদ জামালী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিএনপির কোন নেতাকেও ছাড়দেননি তিনি। কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
ময়মনসিংহে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি, পুলিশের এসআই মাসুদ’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের কাজল মিয়া নামের এক অসহায় মানুষটি এ অভিযোগ করেন। কাজল শুম্ভুঞ্জের বাসিন্দা।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই এসআইয়ের নাম মাসুদ জামালি। পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।