মোঃ শফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
তিস্তার পানি কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের স্রোতে তিস্তার বাম তীরজুড়ে অন্তত ১৬টি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আজ (২৮ আগস্ট) সোমবার সকালে সরেজমিনে ভাঙনের রাজারহাট উপজেলায় গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ঘর-বাড়ি হারিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িযালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা এলাকার সামছুল আলম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার ভাঙন আমার ঘরের কাছে চলে এসেছে। রক্ষা পাওয়ার উপায় নাই। দুটি ঘর সরিয়েছি। বাকি ঘরও সরিয়ে নিতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ করছে না।
একই এলাকার সামসুল আলম জানান, ভাঙনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ঘর-বাড়ি সরিয়ে যে কোথায় নিয়ে যাবো তার কোনো উপায় নেই৷ কেউ জায়গা দিতে চায় না। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
অন্যদিকে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি গত (২৭ আগস্ট) রবিবার থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তার পানি কমে গেলেও এখনও বিপৎসী মার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ভাঙ নের বিষয়ে তিনি বলেন,নদ-নদীর পানি কমা বাড়ার সঙ্গে তিস্তা,ধরলা,ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের প্রায় ৪০টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলো তে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, রাজারহাট উপজেলায় গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ঘর-বাড়ি হারিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার জনসাধারণ।