প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বুধবার দিবা গত রাত ৩ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা গরু চোর চক্রকেধাওয়া করে পুলিশের একটি টহল টিম। তবে চোর চক্রটি হঠাৎ গাড়ী থামিয়ে পুলিশের টহল টিমের গাড়ির উপর হামলা করেপালিয়ে যায়। এতে ওসি’র দেহরক্ষী ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
জানাযায় যে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব ফরিদ আহমেদ ওই রাতে নান্দাইল উপজেলায় টহল তথা তদারকির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় একটি গরু চোর চক্র খুব স্পীডে পিকআপ নিয়ে নান্দাইল বাজারের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। তাৎক্ষনিক বিষয়টি পুলিশ টের পেয়ে ওই চোর চক্রের গাড়ীকে ধাওয়া করলে, গাড়ীটি নান্দাইল টু হোসেনপুর রোডের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল।
এক পর্যায়ে সিংরইল ইউনিয়নের উদং নামক ফাঁকা স্থানে হঠাৎ চোরদের গাড়ী থামিয়ে দেয় চোর চক্র এবং পুলিশ কোন কিছু বুঝার আগেই দ্রুত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ টহল টিমের গাড়ীর উপর হামলা চালায়। এ সময় রামদা দিয়ে ওসি’কে লক্ষ্য করে কুপ দিলে ভাগ্যক্রমে কুপটি ওসির গাড়ীতে লাগে। এ ছাড়া গাড়ীর টায়ার কুপিয়ে পামচার করে দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওসি’র দেহ রক্ষি ও গাড়ীর ড্রাইভার আহত হন। কিন্তু অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ গাড়ীর ভিতর থেকে উনার অস্ত্র নিয়ে বের হলে চোর চক্ররা পুলিশের অস্ত্র দেখে দৌড়ে তাদের গাড়ীতে উঠে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই ওসির ফোন কলে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোটরসাইকেল নিয়ে চোর চক্রের পিছু ধাওয়া করলে ফের গাড়ি থামিয়ে তাকেও এলোপাথারি মারধর সহ মোটরসাইকেলটি কুপিয়ে ভাংচুর করে ও তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পিকআপটি আটকাতে সক্ষম হলেও ওই সময় চোরচক্ররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপরও হামলা চালায়।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ বলেন এ সমস্ত অপরাধীদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। তাড়াহুড়ার মধ্যে আমার অস্ত্র লক থাকায় চোরেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং আমার পুলিশ সদস্যরা আহত হয় ও গাড়ীর ক্ষতি হয়।
তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি অভিযান চালিয়ে ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের চার জন কে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা জড়িত কিনা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।