প্রথম বাংলা – বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশকে মাদকের ভয়াল থাবা,সন্ত্রাস,জঙ্গী,ছিনতাই,ডাকাতি, জুয়া,অপহরণ,খুন, ধর্ষণ,অসাধু অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সাম্প্র তিক সময়ে শিশু ধর্ষণের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বস্তরের জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
আসামিগণ সম্পর্কে যথাক্রমে ভিকটিমের স্বামী, ভাসুর,শাশুড়ি,ননাস ও ননাসের জামাই। তারা সঙ্গ বদ্ধ যৌতুক লোভী ও নারী নির্যাতনকারী। ভিকটিম কে ১ নং আসামী গত দুই বছর পূর্বে বিবাহ করে। বিবাহ দেওয়ার সময় জামাইকে ১,০০,০০০/=নগদ টাকা ও ১,০০,০০০/= টাকার ফার্নিচার দেওয়া হইয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে উক্ত আসামীগণ যৌতুক দাবি করলে পর্যায়ক্রমে ভিকটিমের পিতা-মাতা ৮০,০০০/= টাকা প্রদান করে। এমনিভাবে আসামি সাদ্দাম হোসেন ও শাশুড়ি সাজেদা আক্তার ভিকটি মকে চাপ দিয়ে ২ লাখ টাকা যৌতুক আনার কথা বলে। ভিকটিমের পিতা মাতা এতগুলো টাকা প্রদান করতে অক্ষম বিদায় তাদের নিজ বাড়িতে ভিকটিম কে ১.৫ মাসের মতো রেখে দেয়।
গত এক সপ্তাহ পূর্বে বিবাদী সাদ্দাম হোসেন ভিকটি মকে তার পিতা মাতার বাড়ি থেকে ভবিষ্যতে আর কোনদিন যৌতুকের দাবিতে মারধর নির্যাতন করিবে না মর্মে অঙ্গীকার করে আসামীদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। গত ০২/০৭/২০২৩ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাততে আসামি সাদ্দাম হোসেন, নূরে আলম,শাহ আলম,সাজেদা আক্তার,বসত ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে যৌতুক আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের দাবীকৃত ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ দিলে ভিকটিম টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে সকল আসামিগণ আসামি গন পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে আসামী সাদ্দাম হোসেন বিদ্যুতের তার গলায় পেচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ভিকটিমের মা সংবাদ পেয়ে ভোরবেলা লোকজন নিয়ে আসামিদের বাড়িতে আসার পূর্বেই ভিকটিম কে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে আসামিগণ পালিয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভিটিমের মা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।এরই ধারাবাহিকতায়,চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১২/০২/২০২৩ ইং তারিখ ভোর অনুমান ০৪.০০ ঘটিকায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে
মো:সাদ্দাম হোসেন( ২৩),পিতা: মৃত আব্দুল কাদে র,সাং: সরাপাড়া, থানা : কেন্দুয়া,জেলা : নেত্রকোনা মো: শাহ আলম(৩২),পিতা: মৃত আব্দুল কাদের, সাং: সরাপাড়া,থানা : কেন্দুয়া,জেলা : নেত্র কোনা গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।