মাজহারুল ইসলাম।।ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণের জটিলতা নিরসনে হাইকোর্টে রীট মামলা ৫৩৮৩-৫৩৮৪/২০০৭ ৫৪৮৩/২০০৭- ৫৪৮৪/২০০৭, ৬৭৩৯/২০২২ শুনানির অপেক্ষায় ঝুলে আছে।সুত্রমতে জানা গেছে, ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণের বার বার সরকার উদ্যোগ নিলেও জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৫৩৮৩-৫৩৮৪/২০০৭ ৫৪৮৩/২০০৭ /৫৪৮৪/২০০৭,৬৭৩৯/২০২২ রীট মামলা শুনানি চুরান্ত না হওয়ায় এ জটিলতা নিরসন করা সম্ভব নয়। ফলে এ রুটে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ,গ্যাস লাইন সংযোগের বিরোধপূর্ণ অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে।এতে উভয় এলাকার জনগণের মাঝে চরম উৎকণ্ঠা ও হতাশা বিরাজমান।
সুত্রটি আরও জানাযায়, সম্প্রতি আলিমাবাদ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে শ্রীপুর ইউনিয়ন নামে নবগঠিত ইউনিয়ন করা হয়েছে। সাবেক আলিমাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্গত মৌজা মহিষমারী,ইলিশা-কোড়ালিয়া,ঘাঘড়াটুমচর,লড়াইপুরচর শ্রীপুর ইউনিয়ন থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।স্হানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে,বরিশাল-ভোলার জেলার আদালতে ২০০৩-২০১৩ সাল পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছিল।পরবর্তীতে উভয় এলাকার সচেতন মহলের প্রচেষ্টায় মামলাগুলো একে একে নিস্পত্তি হয়।
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ (শ্রীপুর) ইউনিয়ন ভোলা জেলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির সংলগ্ন আন্তঃ জেলা সীমানা বিরোধপূর্ণ মৌজা বাহেরচর,মহিষমারী ইলিশা-কোড়ালিয়া,ঘাঘড়াটুমচর মৌজা সমূহ সিএস জরিপে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।মৌজা ৪টি সিএস এবং আরএস জমির পরিমাণ যথাক্রমে বাহেরচর ৫শ ৮৫ একর, মহিষমারী ২শ ১৭একর, ইলিশা-কোড়ালিয়া ৭শ ৯৬একর,ঘাঘড়াটুম চর ৫৪০৮ একর জমি ছিল।তবে আরএস কার্যক্রম চলাকালী ন সময়ে ওই মৌজা নদীর গর্ভে বিলীন ছিল। একারনেই রিভার ব্লক প্রস্তুত করে সম্পন্ন জরিপ করা হয়।পরবর্তীতে তেঁতুলিয়া নদী চর জেগে উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ভোলা জেলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির চরচটকিমারা মাত্র হিসেবে ১৪একর জমি ছিল।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ইলিশা-কোড়ালিয়া,ঘাগড়াটুমচর মৌজার ৩শ ২৫ একর,১শ ৯৭.১৮একর জমি ভোলা জেলার সদর উপজেলার ভূমি অফিস কর্তৃক ১৯৬৭/৬৮ সালে ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। ভোলার বন্দোবস্ত স্বীকৃতি দিয়ে উক্ত মৌজা ২টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পি,জে ১/৭৩ এইচ এম(পুলিশ)/৫০২ নং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮ নভেম্বর ১৯৭৫ তারিখে পূর্ন রায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এপরি প্রেক্ষিতে ভোলা জেলার সদর উপজেলার (রাজস্ব কর্মকর্তা ) উক্ত মৌজার বন্দোবস্তের সকল কাগজপত্র মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় প্রেরণ করেছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভূমি অফিস কর্তৃক ১৯৮৬/৮৭ এবং ১৯৮৮/৮৯ সালে ইলিশা কোড়ালিয়া মৌজা হিসেবে ৮১একর, ঘাঘরা টুমচর মৌজার ২শ ৫০ একর জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে।ইলিশা-কোড়ালিয়া মৌজা নামে মোট ৪শ ৬.৬৫ একর,এবং ঘাঘরা টুমচর মৌজা নামে মোট ৪শ ৪৭.৯৮ একর বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে।ভোলা জেলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির চরচটকিমারা হিসেবে ১৯৮২/৮৩ এবং ১৯৮৭/৮৮ সালে ২৩শ ৩৫একর জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেয়া হয়।যা বর্তমানে বিরোধের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
চরচটকিমারা হিসেবে মৌজা নামে মোট ১৪ একর জমি ছিল।আরএস অতিরিক্ত ২৩শ ৩৫ একর বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। ইতিপূর্বে বিএস(দিয়ারা) জরিপে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্গত মৌজা মহিষমারী ইলিশা-কোড়ালিয়া ঘাঘড়াটুমচর রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।দিয়ারা(বিএস) জরিপ কর্তৃক ১৯৯০ সালে চুরান্ত রেকর্ড মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভূমি প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দিয়ারা(বিএস) জরিপে উক্ত মৌজায় জমির পরিমাণ ৭শ ২০.৮১একর। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৫ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সিএস জরিপ ও সর্বশেষ দিয়ারা (বিএস) অনুসারে ইলিশা কোড়ালিয়া ও ঘাঘরা টুমচর মৌজা ২টি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রেখে সীমানা নির্ধারণের আদেশ দেন।
বরিশাল ও ভোলা জেলার যৌথ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মতে সীমানা নির্ধারণের জন্য ২৪ মে ১৯৯০ তারিখ বাংলাদেশ গেজেটে বর্ণিত আছে।মন্ত্রী পরিষদের সচিবের সভাপতি ত্বে ২১ মে ১৯৮৭ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভূঃমঃশা( সীমা)৬২/ ৮৫(অংশ-১)/২৪৬ ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ আন্তঃজেলা ১৯৪০-৪২ এবং ১৯৪৫-৫৩ সালের বাকেরগঞ্জ জেলার সংশোধন জরিপে প্রনীত থানা ম্যাপে প্রদর্শিত হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, বাকেরগঞ্জ থানার সংলগ্ন ভোলার সীমানা রেখা স্হায়ী বিবেচিত হবে।
ভোলা-বরিশাল এবং পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সীমানা ১৯৩৯-১৯৪৫ এবং ১৯৪৫-৫৩ সালের প্রনীত আরএস অনুযায়ী সীমানা রেখা নির্ধারিত হবে।এমর্মে ভূমি মন্ত্র ণালয় কর্তৃক ভূঃমঃশাঃ/২ (সীমা)-৬২/৮৫(অংশ-১)/২৪৬, তারিখ ২৩ এপ্রিল ১৯৯০ এবং ভূঃমঃশাঃ-২ (সীমা)- ৬২/ ৮৫(অংশ-১)/৫৮, তারিখ ২৭ জানুয়ারি ১৯৯০ প্রজ্ঞাপন ২টি জারি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার এবং ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের পরিচা লক সমন্বয় ২ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত কমিটি সরোজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন ভিত্তিতে আংশিক ভূঃমঃশাঃ-২ (সীমা-নিঃ) ২৯/৯৪-৫৩৪ নং স্মারকে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ আংশিক সংশোধন অবগতি করে সীমানা নির্ধারণে র আদেশ দেন।বরিশাল-ভোলা ইলিশা কোড়ালিয়া-ঘাঘরাটুমচর মৌজার ২টি মেহেন্দিগঞ্জ থানার অর্ন্তভুক্ত করে ভোলা-বরিশাল জেলার সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
ভোলা-বরিশাল আন্তঃজেলা সীমানা আরএস লাইন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
ভোলা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সীমানায় অবস্থিত বূড়া গৌরাঙ্গ এর দোকানের পূর্ব পাড়ে অবস্থিত চরমনহর, চরমোতাহার,চরটিউলিপ এলাকা চরফ্যাশন অন্তর্ভুক্ত করে ভোলা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সীমানা রেখা নির্ধারণ করা হবে। ভোলা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সীমানা আরএস লাইন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। স্মারক নং-রাজস্ব/৭-১/ ২০ ০২-২৭৬(৬) বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আবদুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২২ অক্টোবর ২০০৩ তারিখ বরিশাল বিভাগীয় সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জেলা-উপজেলা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোলা জেলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির বাসিন্দা মোহাম্মদ খালেক গংরা ভোলার জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী আপীল মামলা দায়ের করেন।যার নং ৩৯/২০০৪ তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৪ বাদী আঃ খালেক হাওলাদার গং বনাম বিবাদী ভূমি অধিদপ্তরের পরিচালক সহ ভোলা-বরিশাল জেলা-উপজেলার ভূমি প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের কে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলা ৫ জুন ২০০৭ শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষ মাণ রেখে ১৪ জুন ২০০৭ তারিখ পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে যায় প্রদান করেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করা হলে খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রীট ৫৩৮৩-৫৩৮৪/২০০৭ ৫৪৮৩-৫৪৮৪/২০০৭, ৬৭৩৯/২০২২ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।এপরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন ৫৪৮৩/২০০৭ এবং ৫৪৮৪/ ২০০৭ দায়ের করা হলেও ৫৪৮৪/২০০৭ রীট পিটিশন মামলাটি শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা খারিজ করে দেন।তবে ৫৩৮৩-৫৩৮৪ /২০০৭, ৫৪৮৩/২০০৭,৬৭৩৯/২০২২রীট মামলাটি দীর্ঘ দিন ধরে আইনী জটিলতায় শুনানি না হওয়ায় ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ সীমানা নির্ধারণ সম্ভব হচ্ছে না।এ জটিলতা নিরসনে সরকারের কাছে বার বার আবেদন করা হলেও তার ভেস্তে যায়।বরিশাল-ভোলা সীমানা নির্ধারণ না হওয়া য় জমি অধিগ্রহণের জটিলতা সৃষ্টির কারণে বরিশাল-ভোলা সড়ক যোগাযোগ ও গ্যাস লাইন সংযোগের বিরোধপূর্ণ অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সরকার প্রধান ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বরিশাল-ভোলার সড়ক যোগাযোগের লক্ষ্যে কালাবদর-তেতুলিয়া ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।ভোলা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ বরিশাল ও খুলনা বিভাগে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও সীমানা নির্ধারণ জটিলতায় সম্ভব নয়।সড়ক যোগাযোগ ও গ্যাস লাইন সংযোগের জমি অধিগ্রহণের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি।
এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভো কেট মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোলা-বরিশাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে প্রথমে জমি অধিগ্রহণের জন্য সীমানা নির্ধারণ করা জরুরী।আইনী জটিলতা থাকা সত্ত্বেও আলিমাবাদ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে নতুনভাবে শ্রীপুর ইউনিয়ন গঠন উচ্চ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। মহামান্য হাইকোর্টকে অবজ্ঞা করে সীমানা নির্ধারণ মামলা বিচার থাকা সত্ত্বেও আলিমাবাদ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে নতুনভাবে শ্রীপুর ইউনিয়ন গঠন করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ও অবৈধ। ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের দাবিকৃত মহিষমারী, বাহের চর,ইলিশা-কোড়ালিয়া,লড়াইপুরচর শ্রীপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা যাবেনা। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অবিভক্ত আলিমাবাদ ইউনিয়নের উক্ত মৌজা হিসেবে আদালতের না রায় হওয়া চুড়ান্ত থাকবে।

এবিষয়ে স্হানীয় সরকার ও পল্লি সমবায়মন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আইন-আদালতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে,সেই মোতাবেক কাজ পরিচালনা করা হবে। ৬৭৩৯/২০২২ রীট মামলার কপি হাতে পাওয়ার পর শ্রীপুর ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।আলিমাবদ ইউনিয়ন হিসেবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।আইনী জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সেই বিবেচনায় দুটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সকল ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বরিশাল-ভোলা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় কালাবদর-তেতুলিয়া নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রিট মামলার আইনগত দিক নির্দেশনা পূর্বক ব্যবস্হা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরিশাল-ভোলা, লক্ষীপুর মহা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।