প্রথম বাংলা – গাজীপুরের টঙ্গীতে নারী সহকর্মীকে (৩৯) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় চার বছর ধরে ধর্ষণের অভি যোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর আউ চপাড়া এলাকায় এ অভিযোগ পাওয়া যায়।এ ঘটনায় অভি যুক্ত সারোয়ার হোসেন সাইফুল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার আলমপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী নারী ও তার সহকর্মী সারোয়ার হোসেন সাইফুল টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় আপন জন নামক একটি এমএলএম কোম্পানিতে চাকরি করতে ন। চাকরির সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ চার বছর যাবত সাইফুল ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখালে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তারা। সাইফুল বিয়ের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে নগদ আট লাখ টাকা,৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে গত দুই মাস আগে ওই নারীর স্বামী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান।
পরে সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাইফুল বিয়ে কর তে অস্বীকৃতি জানায়।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইফুল ওই নারীর বাসায় এসে তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা ও ধস্তা ধস্তি করে। এসময় তিনি সাইফুলকে ঘরে আটকে বাইর থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে দেন। পরে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে টঙ্গী পশ্চিম থানার উপপ রিদর্শক (এসআই) তাইমুদ্দিন অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করতে দিনভর চেষ্টা করলেও শুক্রবার বিকালে মামলা দায়ের শেষে বিশেষ ব্যবস্থায় অভিযুক্তকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন,এ ঘটনা য় সারোয়ার হোসেন সাইফুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।