স্টাফ রিপোর্টার – ময়মনসিংহে তেত্রিশটি ওয়ার্ডে মাদকে ছেয়ে গেছে শহরের কৃষ্টপুর,পুরোহিত পাড়া,কেওয়াট খালি,শম্ভুগজ্ঞ, রহমতপুর, গোহাইলকান্দি স্কুলের পাশে, ভেরব রেল গেইট এলাকায় বানের পানির মতই ভাসছে মাদক। এ শহরে মাদক যেন ছেলের হাতের মোয়া! কোন প্রতিকার নিচ্ছেনা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ফলে ব্যাপক ভাবে যুব সমাজ মাদকে আকৃষ্ট হয়ে উঠেছে বাড়ছে চুরি ছিনতা ইসহ নানা ধরনের অপরাধ।
অভিযোগে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চুনোপটি মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাঘব বোয়াল মাদক কারবারিরা।কোমর বেঁধে মাদকের ময়দানে নেমে গেছে মাদক বেচা-কেনায়। জানা গেছে, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের দুজন কর্মকর্তা ও কতিপয় পুলিশ অফিসার এবং মাদক ফিল্ডের কারবারি-ব্যবসায়ীরা এই মাদক ব্যবসায় পারস্পরিক সমঝোতা করে দেদারছে মাদক ব্যবসা করছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুলকে মাদক স্পট গুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া রয়েছে বলে মাদক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। এছাড়াও কোতোয়ালী থানা ও ডিবি’তে কর্মরত কতিপয় পুলিশ অফিসার মাদক ব্যবসায় সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের চাকুরি জীবনের বেশীর ভাগ সময় কোতোয়ালী থানায় ও ডিবিতে চাকুরী করে যাচ্ছেন। ক্ষুদ পুলিশেই এদের কেহ ডাকাত দারোগা নামে কতিথ আছে!
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের দুই অফিসার ও কতিপয় পুলিশ সদস্য আগে থেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সমঝোতা করে নেয় পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরবে না এবং থানা পর্যন্ত না গিয়ে ওন দ্যা স্পট নগদ টাকার লেনা-দেনার মাধ্যমে কর্ম শেষ করে দেয়, যা উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি চোখের আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। এই অনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকার পরও কিছুই জানতে পারছেননা উর্ধতন কর্মকর্তারা এটা দুঃখজনক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহবাসী।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি এলাকায় তেত্রিশটি ওয়ার্ডেই চলছে বিভিন্ন নামে ছোট-বড় মাদক ব্যবসা। তার একমাত্র কারণ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা ও ডিবিতে যে সকল ছোট-বড় পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়োজিত আছেন তারা দীর্ঘদিন ঘুড়েফিরে একই পুলিশ স্টেশনে কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন অপরাধী মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। ফলে তারা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও লক্ষ টাকায় ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে স্পটেই রফাদফা সেড়ে ফেলে বলে বহু অভিযোগ রয়েছে।
অনেক মাদক মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের সোর্স দাবী করে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। জেলা পুলিশেই ব্যপক সমালোচিত ও ডাকাত পুলিশ অফিসার বলে কতিথ পুলিশ কখনো তার টিম নিয়ে অভিযান করে আবার রাতের বেলায় ৪/৫ জন সোর্স আর নিজে থেকে অভিযানের নামে স্যামারী করে থাকে। অভিযোগ ও প্রচার রয়েছে তিনি নাকি শম্ভুগজ্ঞ ও কেওয়াট খালি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের জোগান দেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, এসকল পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলী হলেও থানার অফিসার ইনচার্জ বা ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ ছাড়পত্র বা সিসি দেন-না! বিষয়টিও খুব রহস্যজনক। অপর দিকে পুলিশের উপর সাধারন মানুষের আস্থা কমে আসে। এ সকল পুলিশ অফিসারের অন্যত্র বদলী হলেও কিছুটা সময় পাড় করে ফের জেলা শহরের থানা ফাঁড়ি ডিবিতে চলে আসেন!
এদিকে একই এলাকায় ভৈরব রেললাইনের পাশে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী সুর্বণার সাথে মাদকের পার্টনার অনেকে। অন্যদিকে কথিত মাদক সম্রাট ময়মনসিংহের হামে তার নামে একটি মাদক স্পট করেছে যার নাম “কেওয়াটখালী হামের স্পট” এবং মাদক ব্যবসায়ী রেহানা তার নামেও একটি নারী মাদক স্পট তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। বাকৃবি শেষ মোড়ে রয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী পুর্বে বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। দুর্বল প্রতিবেদনের কারনে কিছু দিন পরেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়।
কৃষ্টপুরে রয়েছে পাপ্পু ও সিরাজের মাদক স্পট বীরদর্পে মাদক রিক্রি করে এরা।রহমতপুরের রাহেলা,গোহাইলকান্দির রুনা, দুখিনীসহ বহু মাদক ব্যবসায়ী এসব এলাকায় রয়েছে।
সুত্র জানায়,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায় থেকে ময়মনসিংহ “ক” সার্কেলে তালিকা চাওয়া হলে এস আই মুর্শেদ আলম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা আড়াল করে চুনোপুটি গাঁজা ব্যবসায়ীদের তালিকা পাঠিয়ে দেন। ইনচার্জ এতে নাখোশ হন। তিনি মাসে ১/২টি মামলাও করতে চাননা বলে সুত্রটি জানিয়েছে।
ময়মনসিংহবাসী অবিলম্বে কথিত মাদক সম্রাট হামে ও মাদক ব্যবসায়ী রেহানা,সুর্বনা,জহিরুল,ফয়সাল,চায়না মোড়ের কাজল ,পুরোহিত পাড়ার মাদক আস্তানার বিশাল মাদক ব্যবসার চক্র, কৃষ্টপুরের সিরাজ,রুনু,পাপ্পু,রহমত পুরের রাহেলা,গোহাইল কান্দির দুখিনী,রুনার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন সচেতন ময়মনসিংহ বাসী।