হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার:: বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের কল ম রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা,উক্ত আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ এর দাবীতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদি ক ফোরাম (বিএমএসএফ) মহেশখালী শাখার উদ্যোগে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ৷সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টায় মহেশখালী উপজেলা চত্বরে বিএমএ সএফ মহেশখালী শাখা ও সমন্বিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম মহেশখালী শাখার সভাপতি জাহেদ সরওয়ারের সভাপততিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় ৷
সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন,মত প্রকাশের স্বাধীনতা,কল মের স্বাধীনতা,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা রুখে দেওয়ার অপ চেষ্টা হয়েছিল মুক্তি যুদ্ধের পূর্ববর্তি সময়ে এবং সৈরাছার এরশাদ সরকারের আমলে।তাই আমি একজন কলম যো দ্ধা হিসেবে আজকের মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম মহেশ খালী শাখার এই মানব বন্দন থেকে এই কালো আইন বাতি ল এবং সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক আলী রীয়াজ এর উদৃতি দিয়ে বলেন,এই আইন তৈরি করা হয়েছে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য।কে কোনটা লিখবে আর লিখবে না,সে বিষয়ে সরকারকে কিছু বলতে হবে না। লেখার আগে প্রতিবার মানুষ স্মরণ করবে মুশতা কের কথা। এটাই বাস্তবতা। তিনি বলেন,শক্তিনির্ভরতা ও বলপ্রয়োগ–নির্ভরতার কারণে ভয়ের সংস্কৃতি প্রয়োজন। এই আইনের মাধ্যমে ‘সেন্সরশিফ ফ্র্যাঞ্চাইজ’করা হয়ে ছে। এই আইন করে আইনের শাসনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।” আসুন সাংবাদিক সমাজ সকলে একতাবদ্ধ হয়ে আমরা প্রতিবাদ করি ৷সভাপতি জাহেদ সরওয়ার বলেন,দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।ভয় দেখানোর যন্ত্র হিসেবে এই আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন কেউ কিছু লিখতে বা বলতে গেলে ভয়ানক পরিণতির কথা স্মরণ করবে। সাংবাদিকতা,মুক্তমত চর্চা ও কথা বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা এই আইন। পথ একটাই—এই আইন বাতিল করতে হবে।
আরো বক্তব্য রাখেন,মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ,সাধারণ সম্পাদক সালামত উল্লাহ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বশির উল্লাহ,সিনিয়র সদস্য সিরাজুল ইসলাম বিএমএসএফ এর সিনিয়র সদস্য আবু বক্কর, সেলিম উল্লাহসহ প্রমূখ ৷