মোঃ আরিফ হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদন:
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাধীন ৬নং লামচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ বিন মাসুম এবং তার সহযোগী রাতুল, কাউছার হোসেন সহ অজ্ঞাত ৬ জনের বিরদ্ধে মোবাইল ছিন্তাই ও ৫০ হাজার টাকা চাদাঁর দাবীতে চাকুরীজীবিকে বাগানে আটকিয়ে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে মোহাম্মদিয়া তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ৩জনকে আটক করে মোবাইল উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফতেহপুর ব্রিজ নামক স্থানে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিন কালিকাপুর ওয়ার্ড়ের সাবেক মেম্বার জহিরুল ইসলাম,মধ্য দরবেশপুর ওয়ার্ড় মেম্বার ইয়াসিন আলম,মধ্য দরবেশপুর ওয়ার্ড় মেম্বার আলাউদ্দিন,পশ্চিম করপাড়া ওয়ার্ড় মেম্বার আবুল কালাম দেলু সহ কয়েকজন বৈঠকে বসেও মাসুম সহ ৩জন পলাতক থাকায় কোন সির্দ্ধান্ত নিতে পারেনি।
বিভিন্ন সুত্রে জানায়, মধ্য করপাড়া গ্রামের শেখ আবু তাহের এর পুত্র ইয়াসিন ওরপে ইমরান চাটখিল থানাধীন সাহাপুর বাজারের বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স চাকরি করেন। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক টাকা কালেকশন করে ফতেপুর ব্রিজের উপর এক ভাগ্নির সাথে কথা বলছে। এমন সময় মাসুম এসে মোবাইল কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে নানা ভয়ভীতি দেখি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তার সহযোগী রাতুল ও কাউছার সহ ৮ জন খবর দিয়ে এনে ইয়াছিনকে ব্যাপারী বাড়ির বাগানে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবীতে নির্যাতন করতে থাকে। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। খবর পেয়ে ইয়াছিনের স্বজনেরা উপস্থিত হলে মাসুম ও তার স্বজনেরা ইয়াছিনকে পশ্চিম করপাড়া ওয়ার্ড় মেম্বার আবুল কালাম টেলুর বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়
মধ্য করপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং এঘটনায় মোহাম্মদীয় তদন্ত কেন্দ্রেও পুলিশ কে অবহিত করেছি।পশ্চিম করপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম টেলু জানান, আমার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তারা।মোহাম্মদীয়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল হক জানান, এই ঘটনাঢ একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।