লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ থানা অধীনে ১৩ নং দিঘলী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড খাগুড়িয়া গ্রামের কোয়ার বাড়ীর নুরুল আমিন’মেম্বারের বড় ভাই প্রবাসী হাবিব উল্যার’দালান ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। ১৪ই সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টা থেকে ৪টার মধ্যে চোরের দল দালান ঘরের লোহার দরজার তালা কেটে বসত ঘরে প্রবেশ করে আলমারি,ওয়ারড্রব ও লোহার বাক্স ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণ গয়না,নতুন কম্বল ও ব্যবহৃত মূল্যবান কাপড়- চোপড়সহ প্রায় চার লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।ঐ বাড়িতে একই সাথে দুই ঘরে চুরি সংগঠিত হয়’ সংঘবদ্ধ চোরেরা পুরো ঘর তছনছ করে মূল্যবান মালামাল লুটপাটের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে ভয় বিরাজ করছে।
প্রবাসী হাবিব উল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ কে বলেন, আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। আমি বৃদ্ধ মানুষ বাড়িতে একা থাকি। আমাদের বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় আমি রাতে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকি। বাড়িতে এসে দেখি দরজার তালা ভাঙ্গা ঘরের ভেতর থেকে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে।গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র ছিড়ে ফেলে,আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বর্তমানে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা আর্মি অফিসার কে জানানো হয়েছে তারা ঘটনাস্থলে আসবে বলেছেন।
নুরুল আমিন মেম্বার মুঠো ফোনে মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ কে বলেন,আমি বর্তমান ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। আমি আওয়ামী সংগঠের দায়িত্বে থাকায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। টাকা পাওনা বলে মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে বাড়িতে থাকা পুরুষদের রাস্তায় ও দোকানে হয়রানি করে। জোরপূর্বক টাকা নিয়ে যায়। বিভিন্ন অপরিচিত লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি প্রদান করে। আমি বাড়িতে খাকতে পারি না। বন্যার কারণে অনেক ঘরে মানুষজন থাকে না। এই সুযোগে সঙ্গবদ্ধ চোরের দল আমার বাড়ির দুই তিনটা ঘরে চুরি করে। এলাকার অনেক গুলো পরিবার চোরের ভয়ে পানি বন্দি থাকার পরেও ঘর না ছেড়ে আতংকে দিন পার করে।
দ্রুত প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী করে চোর ডাকাতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।