December 7, 2024, 9:31 pm
শিরোনামঃ
ছাত্রদলের সভায় দাওয়াত পায়নি শিবির-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ব্যাপক সংঘর্ষ, বাস চলাচল বন্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধীতাকারী স্বৈরাচার সরকারের দোসর দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারসদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কারাগার থেকে পালানো ৭৭০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি: কারা মহাপরিদর্শক জয়পুরহাটে টাকা দিয়েও সার পাচ্ছেন না কৃষক ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুর, ছিঁড়ে ফেলা হলো বাংলাদেশি পতাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে আন্দোলনে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকে দেয়া হয়েছে: গভর্নর
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

সংসদে বিল উত্থাপন: প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে ১০ বছর জেল

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিনিধি – সরকারি কর্মকমিশন (পিএস সি) পরিচালিত কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ভুয়া পরিচয়ে পরীক্ষায় অংশ নিলে দুই বছরের কারা দণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে।সোমবার সংসদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অ ধ্যাদেশ ১৯৭৭ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নে এ সংক্রান্ত বিল তোলা হয়েছে।

এদিন জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফর হাদ হোসেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বিল ২০২২ জাতীয় সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেও য়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংস দীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

উত্থাপিত বিলে বলা হয়,বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্ডিন্যান্সের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন এমনভাবে বহাল থাকবে যেন এটি এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একজন সভাপতি,অন্তত ছয়জন এবং সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। কোনো বিভাগীয় অফিস,

জেলা অফিস বা অধস্তনের অফিসের কোনো পদ যেন এ অফিসের প্রধান বা অফিসের অন্য কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়- এমন পদে নিয়োগের বিষয়ে কমিশনের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক হবে না। এছাড়া কোনো আইন দিয়ে কমিশনের আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে- এমন কোনো চাকরি বা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পিএসসির পরামর্শ নেয়া আবশ্যক হবে না।

বিলে বলা হয়,কমিশন প্রজাতন্ত্রের জনবল নি য়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান সাপেক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও শর্তাবলী নির্ধারণ করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাজার বিধান ছিল না। নতুন আইনে সেটি যুক্ত করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরী ক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার সময় হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কো নো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরী ক্ষায় অংশ নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থ দণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলে আরো বলা হয়, কোনো ব্যক্তি পরীক্ষা অনু ষ্ঠিত হওয়ার আগে পরীক্ষার জন্য প্রণীত কোনো প্রশ্ন সংবলিত কাগজ বা তথ্য, পরীক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে বলে মিথ্যা ধারণাদায়ক কোনো প্রশ্ন সংবলিত কাগজ বা তথ্য অথবা পরীক্ষার জন্য প্রণীত প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে বলে বিবেচিত হওয়ার অভিপ্রায়ে কোনো প্রশ্ন সংব লিত কাগজ বা তথ্য যেকোনো উপায়ে ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এ অপরাধ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হবে।

বিলে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি কোনো পরীক্ষা সংক্রান্ত উত্তরপত্র বা এর অংশবিশেষের পরি বর্তে অন্য কোনো উত্তরপত্র বা এর অংশ বিশেষ প্রতিস্থাপন করলে বা পরীক্ষা চলাকালে পরী ক্ষার্থী কর্তৃক লিখিত হয়নি- এ ধরনের উত্তর সংবলিত অতিরিক্ত পৃষ্ঠা কোনো উত্তরপত্রের সঙ্গে সংযোজন করলে তার জন্য দুবছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

এতে আরো বলা হয়, কোনো ব্যক্তি কোনো পরী ক্ষার্থীকে কোনো লিখিত উত্তর, বই, লিখিত কাগজ, পৃষ্ঠা বা এখান থেকে কোনো উদ্ধৃতি পরীক্ষার হলে সরবরাহ করলে বা মৌখিকভাবে বা যান্ত্রিক কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য সহায়তা করলে তার দণ্ড হবে সর্বোচ্চ দুবছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলের বিধান অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি ছাড়া অন্যান্য অপরাধের সাজা মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত হবে।



Our Like Page