সাব্বির হোসেন-
“মানব দেহে যদি ভরকরে ক্যান্সার তার নেই কোন এন্সার”। ঠিক তেমনি ধান চাষী কৃষকদের জন্য আতংকের নাম বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা Brawn plants Hopper (BPH)। বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রান্ত হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আমোদখালি বোরো ধানের মাঠে। ভুক্তভোগী হয়েছে অসংখ্য বোরো চাষীর ধান ফসলের মাঠ। হাজিখালী, আমোদখালি, ঢেউরবিল, আন্ধারমানিক ও চেলারবিলসহ আশেপাশের মাঠ ফসলের অসংখ্য কৃষকরা আতংকিত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করা সম্ভব হয়নি। বোরো মৌসুমের মাঠ ফসলে নির্ভর করে স্বপ্ন বুনেছেন এসমস্ত এলাকার কৃষকদের পরিবার কৃষকদের সেই স্বপ্ন এখন চোখের পানিতে হতাশায় ভাসমান।
সদর উপজেলার ভূক্তভোগী কৃষক ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের নোবাত আলী সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম ও মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রেফারি নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বললে চোখে হতাশার ছাপ নিয়ে এসব কথা বলে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে তিনি জানান আমোদখালি বিলে বাদামি গাছ ফড়িঙের আক্রান্ত হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই চাঁদপুর ব্লকের উপ-সহকারীকে সরজমিনে পাঠিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি আলোক ফাঁদ দিতে, জমি শুকনো রাখতে, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করেছেন। তিনি কারেন্ট পোকা বা বিপিএইচ দমনের জন্য “ট্রাইফুমেজোপাইরিম” গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
সদর উপজেলা ধুলিহর ইউনিয়নের চাঁদপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসিফ পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন – আমি ২৬ শে মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় আমোদ খালি বিলের কৃষক মহিদুল ইসলামের সাথে তার জমিতে সরোজমিনে পরিদর্শন শেষে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি কৃষকদের ফুলস্টপ,ফিলিয়া এবং “ট্রাইফুমেজোপাইরিম” গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেন।
এছাড়াও তিনি এসব এলাকার কৃষকদের জমিতে স্যাঁতস্যাঁতে কাঁদা না রাখার পরামর্শ দেন।