সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি”সবুজ হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদেআগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের দাবী।
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হামলার করেন সাবেক পৌরসভার মেয়রের ছেলে সবুজ ইসলামকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যার চেষ্টায় করা হয়। সন্ত্রাসীদের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দ্বারিয়াপুর মহল্লাবাসী।আজ শনিবার(২-জুন)২০২৪ ইং দুপুরে দ্বারিয়াপুর বাজারের ফলপট্টিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন”শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম,রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল প্রামানিক, শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিমন হোসেন,আসমা খাতুন,রোমানা খাতুন সহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় আহত-সবুজ বলেন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আমার উপরে গুরুত্ব ভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। সাধারণ জনগণের কারণে আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে যাই”আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমা কে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।আমরা সবাই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হয়ে”যদি একের অপরের উপরে এভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয় তাহলে দল-মত নির্বিশেষে কি রইলো।আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এই সন্ত্রাসীদের কে আইনের আওতায় আনা হোক আর যেন আমার মত কোন সবুজ হত্যা না হয়।
উপজেলা নির্বাচনে কোন জামাত-বিএনপি প্রার্থী হয় নাই “আমরা এক পরিবারের লোক হয়ে আমার উপরে যেভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে আমি এটা সুস্থ তদন্তের ভিত্তিতে অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে যেন আইনগত ব্যবস্থা না হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, অপরাধীরা যত বড় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি হোক না কেন কেউ আইনের বাইরে যেতে পারবেনা তাই আমরা দল-মত নির্বিশেষে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের করা হোক।
এ সময় সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের উপরে হত্যার প্রতিবাদে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। নির্বাচনের পরের দিন রাতে তার ছেলে সবুজ রুটি খাওয়ার জন্য দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডে গেলে ভিপি রহিম এবং শেখ কাজলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। মূলত নির্বাচনে শেখ কাজলের হওয়ার তারা আধিপত্য বিস্তার করার জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই পৌর মেয়র।ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় জনতায় হলো চিরস্থায়ী হয়’য়ারা সন্ত্রাসী নজ্য সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন”
অতি শিগ্রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে।যারা জ্বালাও পোড়াও করে তারা কোন দলের নেতাকর্মী হতে পারে না পুলিশ সুপার প্রতি আহ্বান থাকবে সুস্থ তদন্ত করে অপরাধীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে সোবহান শেখ কাজল বলেন,ঘটনার সময় তিনি মনিরামপুর বাজারে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি আরও জানান,ঘটনার দিন দুপুরে সবুজ ইসলাম তার বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় সবুজকে তারা হামলা করেছে তা আমি জানতে পারি নাই।আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করলে সেটা আইন দেখবে আইনের চোখে যদি আমি অপরাধী হই তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য ভিপি আব্দুর রহিমের জানান, ঘটনার দিন সে মদ পান করে দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডে এসে সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাকে বকাপাদ্য করছিল। এসময় এলাকার লোকজন তাকে পিটুনি দিলে আমি তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই উল্টো আমাকেই দোষারপ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৯-মে বুধবার শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পরাজিত প্রার্থী মারুফ হোসেন সুনামের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়।এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এবং ঐদিন রাতেই সাবেক মেয়র নজরুল ইসলামের পুত্র সবুজ ইসলাম মারধরের শিকার হন।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ভিপি আব্দুর রহিমসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম বাদী গতশুক্রবার শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজাদপুর থানারপরিদর্শক (তদন্ত) ও দ্বায়ীত্বপ্রাপ্ত ওসি আসলাম আলী জানান,এখন পর্যন্ত কাওকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।আজকেরমানববন্ধনের বিষয়ে তিনি আগে থেকে অবগত ছিলেন না,জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেন বলে তিনি জানান।অপরাধীরা যত বড় ক্ষমতা শীল ব্যক্তি হোক না কেন আইনের বাইরে যেতে পারবে না যত বড় সন্ত্রাসী বাহিনী হোক না কেন তাকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।