আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নকে বিভাজন, প্রস্তাবিত আলহাজ্ব খলিল উল্যা মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা ও শতভাগ জন্মনিবন্ধন করণসহ গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নিয়ে ইউনিয়ন,ওয়ার্ড পর্যায়ের আ.লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রতিনিধি,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সকল পর্যায়ের সাধারণ জনগনকে নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৫ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ১১ ঘটিকায় চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মিজানুর রহমান দিপকের সঞ্চালনায় চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজদী পাবলিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী,
পিন্সিপাল আশরাফুল করিম এডভোকেট।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, চরজব্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর ইসলাম মানিক, সাধারণ সম্পাদক বসির উল্যা,ইউপি সদস্য আবু কাউছার, আয়ুইব আলী, শাহজাহান, মিলন মিয়া, কামাল উদ্দিন, মাইন উদ্দিন জিকু,আবুল কাশেম, রিয়াজুল মাওলা চৌধুরী, মো. মমিন উল্যাহ, নাজমা আক্তার, শাহনাজ। ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাত,সোহেল,আব্দুল ওহাব,আবু নাসের সুমন, যুবলীগ নেতা দিদার উল্যাহ,আনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন,রফিক,আইয়ুব আলী, ছাত্রদল নেতা আবুল খায়ের আকাশ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, চরজব্বর ইউনিয়নে প্রায় ১ লক্ষ লোকের বসবাস, ৪০-৫০ হাজার ভোটার, চরজব্বর ইউনিয়নকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়ন বিভাজন কল্পে কাজ করে যাচ্ছি,এবং নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী অবহেলিত চরজব্বর ইউনিয়নে আমার মরহুম পিতার নামে প্রস্তাবিত আলহাজ্ব খলিল উল্যা মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের নাগরিক অধিকার শতভাগ জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করনের কাজ চলমান।
এছাড়াও আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ২৬ টি কাঁচা রাস্তা, ১২ টি পাকা রাস্তা টেন্ডার, ১০ টি ব্রিজের কাজ চলমান। এবং একটি ভবন ভাড়া করে কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম চালু রয়েছে। ওই কমিউনিটি ক্লিনিক স্থায়ীভাবে চিকিৎসা করার জন্য ভবন নির্মাণাধীন। এবং চরজব্বর ইউনিয়নে প্রত্যেকটি স্কুল,মাদ্রাসায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। মাদক নির্মূল, ইভটিজিং,
বাল্যাবিবাহ, কিশোর গ্যাং, চুরি ডাকাতি, জুয়াসহ সকল অসামাজিক কার্যক্রম অধিকাংশ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এ সব অপরাধ ও অনৈতিক কাজের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপন, পর, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক যেকোনো ব্যক্তি জমি দালালি, সালিশ বাণিজ্য ও অপসংস্কৃতির সাথে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। এসময় তিনি উন্নয়নকল্পে কাজ করার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেন। এবং এ চরজব্বরকে একটি মডেল ইউনিয়ন ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেন।