বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বিপ্লব (১৪)‘র মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। গত সোমবার তাঁর ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার ৬ নং কাজিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর চান্দখালীর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: বেল্লাল মৃধার ছেলে আরাফাত হোসেন বিপ্লব। সোমবার (৩ অক্টোবর ) দুপুরে বাড়ির পাশেই বাবা বেল্লাল মৃধার মালিকানাধীন “মা ডেইরি ফার্ম” এর আড়ার সাথে গামছা ও নাইলনের নেটে ঝুলন্ত তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ঐ দিন সকালে একই ফার্মে অবস্থান করছিল নিহত শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেনের সৎ মামা মো: জাহিদুল ইসলাম। দুপুরের দিকে মামা জাহিদুল ইসলাম হঠাৎ দেখতে পায় বিপ্লব’র ঝুলন্ত মৃত দেহ। ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দিলে চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা প্রেরন করেন। পরে নিহত আরাফাতের লাশ তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তবে এখনো ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যায়নি।
নিহত শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বিপ্লব কুমড়াখালী শষীভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা বেল্লাল মৃধার দুই বিয়ে। আরাফাত হোসেন বিপ্লব বাবা বেল্লাল মৃধার প্রথম স্ত্রী মোসা: লাভলী বেগমের ঘরে বাবার একমাত্র সন্তান। ২০০৮ সালে তাঁর মায়ের সাথে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় আরাফাত হোসেন এত দিনে সৎ মা মোসা: কাজল বেগমের সাথে একই পরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর সৎ মায়ের ঘরেও ৩ বছর বয়েসী মরিয়ম আক্তার নামে একটি শিশু কণ্যা সন্তান রয়েছে।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ধ্রুমজাল স্থানীয়রা মনে করছে শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেনের মৃত্যূ এটি একটি রহস্য জনক কাহিনী। যে ফার্মের ভেতরের খুঁটির আড়ার সাথে গামছা ও নাইলনের নেটে ঝুলন্ত অবস্থায় যে ভাবে আরাফাতের মৃত দেহ পাওয়া গেছে। সেটি দেখলেই স্বাভাবিকভাবে মনে হয় ফার্মের ভেতরের জায়গা ও খুঁটিটি খুবই অপরিসর এবং খাটো।
সেখানে আড়ার সাথে গামছা ও নাইলনের নেটে ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়া দুস্কর ও অসম্ভব। নিহত শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বিপ্লবের শোকাহত বাবা বেল্লাল মৃধার দাবি করেছেন তাঁর একমাত্র পুত্র সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এর সাথে জড়িত তা এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না। তিনি এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
নিহতের ফুফু মোসা: সুমি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলে আরাফাত হোসেন বিপ্লবেরমত এরকমের ছেলেই হয় না। সে ভদ্র ও সম্পূর্ণ শান্ত শিষ্ট স্বভাবের ছিলো। ওর আত্মহত্যা করার মতো কোন কারণ নেই। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ জনক আমি ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও সার্বিক বিষয় অনুসন্ধান পূর্বক প্রশাসনের কাছে দ্রুত ন্যায্য বিচারের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে যদি কোন কুচক্রি মহলের যোগসাজসে এাট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকে তাঁদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক।
এর তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো: রুহুল আমীন বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এখনো ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পৌঁছেনি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।