খালেদা পারভীন ভুরুঙ্গামারী প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর প্রিয় শিক্ষক আজ চলে যাবার প্রায় সাত বছর।এই যুগে অনেকেই তাকে দেখেইনি,আবার কেউ গেছে ভুলে। তিনি ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৬৫ সালে শিক্ষকতা পেশা য় যোগদান করেন।সেখানে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন অনেক ছাত্র ছাত্রীর মাঝে।বেশ পরিচিতি ও সুনামও অর্জন করেছিলেন। শিক্ষকতা জীবনের শেষ দিকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন।
তিনি শুধু শিক্ষকি ছিলেন না তিনি ছিলেন গবেষক, লেখক,সাহিত্যিক,আলেম ছাড়াও আরবি উর্দু ফার সি ভাষাসহ অনেক প্রকার ভাষায় কথা বলতেন তিনি।১৯৭১ সালে তার বাবার নামেও একটি হাফে জিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।যে মাদ্রাসাটি উপজে লার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত শাহ ইউসুফী হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত।
শিক্ষক বেশ কিছু বইও লিখেছেন যার মধ্যে কেয়াম তের বিভীষিকা প্রথম খন্ড,দ্বিতীয় খন্ড,রক্ত সিন্ধুর বেলাভূমি,ভোরের পাখিসহ আরও অনেক বই।তিনি পুরুষ্কারও অর্জন করে ছিলেন আন্তর্জাতিক ভাবে।ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ইউনিভার্সিটি অফ ইসফাহান থেকে ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক রচ না প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় ব্যাচে অংশগ্রহণ করে ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশ নাল অ্যান্ড সাইন্টিফিক রিলেশন এন্ড এসহান ইউনিভা র্সিটি থেকে ডাইরেক্টর ডক্টর মাহমুদ মাক্কি জাদেশ কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ অর্জন করেছিলেন।তিনি উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের খতিব হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ ইমামের দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।
বল ছিলাম কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা র সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের সর কারি কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (মাস্টার) এর কথা।তাঁর জন্মস্থান ছিলো কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দরিচর গ্রামে ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসের ১ তারিখে,ভূরুঙ্গামা রীতে যে বাড়িতে বসবাস করতেন সেখানে স্ত্রী, সন্তান,আত্তীয় স্বজনসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে ৮ জুলাই ২০১৬ সালে আল্লাহর ডাকে পর পারে চলে যান।