সানজিম মিয়া – রংপুর
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান আপন মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতা মমিনুর ইসলামকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।সেই সাথে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মান্দ্রাইন বাঁধের পাড় এলাকার বাসিন্দা মমিনুর ইসলাম স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
দিনের বেলায় তার মা দোকানে বসার সুযোগে বাবা মমিনুর ইসলাম (৪৫) বাড়িতে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য নানা ভয়-ভীতি দেখায়।
ঘটনাটি ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সকালে বাড়িতে একা পেয়ে বাবা আবারও নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে। ১২ মার্চ ওই কিশোরী পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
নগরীর শাপলা চত্তর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক অটোরিক্সা চালক ওই কিশোরীকে দেখতে পেয়ে একটি খাবারের হোটেলে রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন রাত ১১টায় ওই কিশোরীর মা মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ওই কিশোরী তার মাকে সবকিছু খুলে বলে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ গঙ্গাচড়া থানায় স্বামী মমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার আদালত মমিনুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেন।