নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়ির নামে মামলা দায়েরের পর তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ঝিনঝিরা বালারচর গ্রামের মৃত জোসেন আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনের (২৫) সঙ্গে কেদার ইউনিয়নের হাপাটারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাহিনা বেগমের (১৮) এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
গত শুক্রবার উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় কলহের নিরসন হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান আলমগীর। ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়িতে দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে আলমগীর ঘুমিয়ে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ব্লেড দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আলমগীরের বিশেষ অঙ্গ কাটেন।
এ সময় আলমগীরের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করান।
এ ঘটনার পর ওই দিন রাতে আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী সাহিনা বেগম ও শাশুড়ি সেফালী বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।