প্রথম বাংলা – ঈদের পরের দিন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন ক্ষেতে এক শিশু যুবকের মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়।
২২ এপ্রিল ঈদের দিন বিকালে ১৪ বছর বয়সী শিশু অটো রিক্সাচালক মনিকে রকিবুল ইসলাম সরিষাবাড়ী পোগান্দিয়া থেকে জামালপুর সদর দিকপাইত যাওয়ার জন্য ভাড়া করে পথে রকিবুল তার সহযোগী শফিকুল কে অটোরিক্সা য় উঠায় এবং তারা দুইজন টাঙ্গাইল ধনবাড়ীর দিকে যেতে বলে। এরই মধ্যে রকিবুল ফোনে আরো দুইজনের সাথে ফোনে কথা বলে রাস্তার পাশে থাকতে বলে এবং রহিম ও ফারুক মটরসাইকেল যোগে চলে আসে। তারা উভয় চা পান করার জন্য পথিমধ্যে দাড়াতে বলে এবং রকিবুল অটোরিক্সা চালাতে পারে বলে ভিকটিম মনির কাছ থেকে চাবি নিয়ে পালিয়ে যায়।রকিবুল না আসাতে ভিকটিম শফিকুল কে চাপ দেয়।পরে শফিকুল, রহিম, ফারুক ভিকটিম মনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের বেগুন ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঈদের পরের দিন ২৩ এপ্রিল বেগুন ক্ষেতে লাশ দেখতে পায় স্হানীয়রা, স্হানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানায় নিয়ে যায়।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের বড় ভাই রবিন ফেইসবুকে দেখে থানায় গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।
ভিকটিমের পিতা জামালপুর সরিষাবাড়ী পোগাদিয়া রুদ্র বয়ড়া গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি র্যাব-১৪ অতিরিক্ত ডিআইজি ও অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান এর নজরে আসে । তিনি সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেনকে ছায়া তদন্তের নির্দেশদেন। দীর্ঘ একমাস ছায়া তদন্তের মাধ্যমে ১৬ মে ভোর রাতে ঘটনায় জড়িত পাঁচজন আসামী ও ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা এবং আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় আসামী রকিবুল অটোরিক্সাটি ৪৫ হাজার টাকায় ফরমান সর্দারের কাছে বিক্রি করে এবং নিজে ১৮ হাজার টাকা রেখে বাকী তিনজনকে ৭ হাজার করে দিয়ে বাকী টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ দেখায় গ্রেফতা রকৃত আসামী রকিবুল ইসলাম (১৯),আব্দুর রহিম (২২), মো: ফারুক হোসেন (৩৭), শফিকুল ইসলাম (৩২), অটোরিক্সা ক্রেতা ফরমান আলী (৪০)আসামীদের টাঙ্গাইল মধুপুর থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।