মোঃ রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ,শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরাউ পজেলার পালেরচর মাছ বাজারে জাটকা নিষেধাজ্ঞার ব্যানার টানিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযা ন না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকালে ও বিকা লে উপজেলার পালেরচর বাজারের আড়তগুলোতেদে দারছে জাটকা কেনাবেচা চলছে। প্রতি কেজি জাটকা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ)বিকালে পালেরচর বাজারে সরে জমিনে জাটকা ও ইলিশের পোনা ছোট টেম্পু ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের নির্ভিঘ্নে এ প্র কাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ বিক্রি দেখে সচেতন মহল হতবিম্ব হয়ে যান।তারা মনে করেন এভাবে অবা ধে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতেইলিশ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা কর ছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সুত্র আরও জানায়,পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়তজেলেরা জাটকা ধরে বিভিন্ন আড়ৎ ও স্থানীয় হাট-বাজারেবিক্রি করছেন।উপজেলার পালেরচর মাছ বাজারে জাটকাবি ক্রি হচ্ছে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপর তা দেখা যায়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন,মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই জাটকা শিকার করতে হয়।
মাছ বিক্রেতা শহর মাদবর বলেন,জাটকা আড়তে আ সে বলেই আমরা কিনে বিক্রি করি। এখানে আমাদের দোষের কিছু নেই। আড়তদাররা যদি জাটকা আনা বন্ধ রাখেন তাহলে আমরাও জাটকা ইলিশ বিক্রি বন্ধ রাখবো।
জাটকা ক্রেতা হাবিবুর বলেন,বড় ইলিশ মাছের দাম বে শি তাই কমদামে জাটকা ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতইএই বাজারে জাটকা পাওয়া যায় উপার্জন কম তাই জাটকা কিনছি। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফের বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। গত কয়েক দিন আগেও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করেছি। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
জানতে চাইলে মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ প রিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,পালেরচর বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি।আমরা নিয় মিত অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা করছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।