পঙ্কজ মিত্র,পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুই সাংবাদিককে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ও এজাজ চৌধুরী রোববার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক দুটি জিডি করেছেন।
সোহেল দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মঠবা ড়িয়া প্রতিনিধি ও উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত. মো. রুহুল আমীন আকনের ছে লে,এজাজ দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ও পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল জানান, তিনি পত্রিকায় কাজ করার পাশাপাশি ‘এমবি টিভি’ নামে একটি অনলাইন পেইজ পরিচালনা করেন। এ পেইজে তিনি বিভিন্ন ভিডিও সংবাদ,বিভিন্ন দৃশ্য আপলোড করেন।
বর্তমানে চলমান দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচণে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণা আপলোড করে আসছেন। সম্প্রতি সময় পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজির ঈগল প্রতীকের বেশ কয়েকটি প্রচারণা আপলোড দেন ওই অন লাইন পেইজে।
এতে দুর্বৃত্তরা গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় প্রথমে তাকে +৮৮০৩০০৯৪৫৫০ নম্বর দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
দ্বিতীয় দফায় রাত ১২ টা ৩৭ মিনিটি একই ব্যাক্তি +৩০০৯৪৫৫০ নম্বর দিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজির ঈগল প্রতীকের প্রচারণা করায় তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় হুমকিদাতা অন্য এক সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার আহবান জানান। তার নাম জানতে চাইলে র্যাব নাসিরের চাচাতো ভাই সবুজ বলে পরিচয় দেন।
সাংবাদিক এজাজ চৌধুরী বলেন,তার ‘মঠবাড়িয়া সমা চার’ নামে অনলাইন পেইজে সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাং সদ ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজির ঈগল প্রতীকের বে শ কয়েকটি প্রচারণা আপলোড দেয়ায় শনিবার দিবা গত রাত ১১ টা ৫৭ মিনিটে ওই একই নম্বর থেকে তা কে হত্যার হুমকি দেয়।এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজ ন সাংবাদিককে অচেনা অনলাইন নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেয়া হয় বলে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সচেতণ মহল গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। জেলা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের সনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।