আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোচীফঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়ালেখা অনিশ্চিত বিদ্যুতের এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক যুগান্তর (অনলাইনে) পত্রিকায়। সংবাদটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মঞ্জু হাসপাতাল এবং মঞ্জু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিঠুন কুমারের।
নজরে আসলে তিনি বিদ্যুৎ কুমার এর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহ সকল দায়িত্ব নেন। এছাড়াও তিনি লেখা পড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ এর পার্ট টাইম চাকুরীর ব্যাবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আড়ানী পূর্বপাড়া গ্রামের আনন্দ কুমার দাসের ছেলে বিদ্যুৎ কুমার দাস। বিদ্যুতের বাবা চার্মকার ও বড় ভাই পরিমল কুমার দাস নাপিতের কাজ করে সংসার চালায়।
স্বল্প আয়ের মানুষ হওয়ায় বিদ্যুৎ কুমার দাসের পড়াশোনার খরচ চালানো দায় হয়ে পড়েছিল। তাদের এ-ই দুঃসময়ে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া থেকে বাঁচাতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মিঠুন কুমার।
এ বিষয়ে ডাঃ মিঠুন কুমার বলেন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এমন একটা ভালো কাজে যুক্ত হতে পেরেছি। এমন ভালো কাজে সমাজের বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলে সমাজে অসহায় মানুষের আর সমস্যা থাকতো না।
আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম খান বলেন, বাঘা উপজেলার সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডাঃ মিঠুন কুমার সব সময় ভালো কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন। তার অকৃত্রিম সহযোগিতায় একটি মেধাবী ছাত্র এবং তার পরিবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, আর্থিক অনটনের মধ্যেও নিজের ইচ্ছা শক্তি আর সবার আশির্বাদে এ পর্যায়ে পোঁছাতে পেরেছি। কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করা কষ্টকর হচ্ছিল।
বিষয়টি জানার পর মুঞ্জু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মিঠন কুমার আমাকে ভর্তির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় আমি অত্যন্ত খুশি এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা,
সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক লালন উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পান্ডে, আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম খান, আড়ানী ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি আশিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাপ্ত বিদ্যুৎ কুমারের বড় ভাই পরিমল কুমার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৯তম স্থান অর্জন করেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে চান্স পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাস