মোঃ রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ,জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার দখলকৃত জমি আদাল তের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকলে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছ,শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীন খন্দকারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকারের সাথে একই এলাকার মৃত আব্দুল সরদারের ছেলে আবুআলে ম সরদার,নূর আলম সরদার, আব্দুস সালাম সরদার ও মৃত সাত্তার সরকারের ছেলে কামাল হোসেন চান মিয়ার দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজার ১১৬ নং বিআরএস খতিয়ানের ১৭ নং দাগে ২৬ শতাংশ জমি হতে ১৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
ইতিপূর্বে উক্ত বিরোধপূর্ণ জমি চান মিয়া গংরাএকাধিক বার জোরপূর্বক দখলে নেয়ার পায়তারা করে। কয়েক দিন পূর্বে তারা লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল করতে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকার ও তার ভাই কামাল হোসেন খন্দকার বাঁধা দেন।এতে দখলকা রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘিরে ধরেন এবং কোন ধরনের বাঁধা দিতে গেলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। উপা য় না পেয়ে গত ১৮ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিলউদ্দিন খন্দকারের ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে শরীয়ত পুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালত স্থিতিবস্তা বজায় রাখার স্বার্থে মামলা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাতে ওই নালিশী জমিতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন।
কিন্তু দখলকারীরা আদালতে নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শুক্রবার ভোর থেকে পূনরায় ভাড়াটেলোকজ ন ওই নালিশী জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। দখলকা রীরা জমির চারদিকে পাকা দেয়াল নির্মান করে এবং মাটি কেটে পাড় বাঁধে। সেখানে মাটি ভরাটের জন্য ড্রেজারের পাইপ বসায়। এ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায়আই নশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকার বলেন, অনেক দিন যাবত ভূমিদস্যুরা আমার ক্রয়কৃত দখলীয় জমি জো রপূর্বক দখল করার পায়তারা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে সন্ত্রাসী ভাড়া করে তারা আমার জমি দখলের চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের ঘিরে ধরে এবং বাঁধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে আমরা ন্যায় বিচার পাওয়া র আশায় আদালতের শরণাপন্ন হই।আদালত ওই জমিতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে।
কিন্তু ভূমিদস্যুরা আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানতেছেনা ।তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ ভোর থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে মাটি ভরাট করে আ মার জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে গেলে তারা আবার মাটি ভরাট করে জমি দখলে নিবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
তবে অপর পক্ষের কামাল হোসেন চান মিয়া বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারাও জমিতে কাজ করছে। তাই আমরাও আমাদের জমিতে মাটি ভরাট করছি। তারা পারলে আমরা পারব না কেন?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।