May 11, 2024, 6:07 pm
শিরোনামঃ
কাস্টমসে তোলপাড় গোয়েন্দার আটকে দেওয়া মার্সিডিজ গোপনে খালাস দূরারোগ্য কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত আনিসুরের পাশে দাঁড়ালেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাল বৈশাখী ঝড়ে ভেঙে গেছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাবিটার ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ দুদকের মামলা ধান ও চালের মানে আপস করা হবে না – খাদ্যমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনী মাঠে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি এ্যাড. শেখ আব্দুল হামিদ লাভলুর নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মুক্তাগাছা উপজেলা পিআইও সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ চকরিয়ায় জোড়া খুন: বাদীর বিরোদ্ধে ঘরবাড়ী, গরু লুট ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে মামলা চকরিয়ার চিরিঙ্গায় ডেকোরেশন ব্যবসায়িকে মারধর করে সর্বস্ব লুট
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

মকসুদপুরের পৌর চেয়ারম্যান ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মান অভিযোগে প্রকৃত মালিক

Reporter Name

মোঃ তপু শেখ”গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুরে উপজেলার সদর পৌরসভার দক্ষিন চন্ডিবরদী এলাকার পাইলট স্কুলের পাশে ব্যক্তিগত পৈত্রিক সম্পত্তি জোর দখল করে মার্কেট নির্মান করছেন মকসুদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অশ্রাফুল আলম শিমুল মিয়া ও তাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু অভিযোগ করলেন জায়গার প্রকৃত মালিক মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান সর্দার।
এ ব্যপারে জায়গার মালিক ভুক্তভোগী তৌহিদুর রহমান বলেন, এই জায়গার পৈত্রিক সূত্রে প্রকৃত মিালিক আমার বাপ-দাদারা সেই সূত্রে আজ আমরা মালিক। আমাদের এই সম্বলটুকুর উপর নজর পড়েছে শকুনীদের। তিনি আরো বলেন, এই জায়গায় আমাদের স্থাপনা রয়েছে বহুবছর ধরে। এই স্থাপনা ভাংগা ঠেকাতে আসলে আমরা বাঁধা দিলে মকসুদপুর সদর পৌরসভার চেয়ারম্যান আমাদেরকে পিস্তলের সব গুলো বুলেট আমাদের উপর ব্যবহার করবে বলে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। আমাদের এই সম্পত্তির আরএস ৫৮ নং দক্ষিন চন্ডিবরদী মৌজার আরএস ৬৩ নং এসএ ৬৭ নং খতিয়ানের ৫৭৪ নং দাগের ৭০ শতাংশ জমির কর্ডীয় মালিক থাকেন আজাহার সর্দার পিং খালাসী সরদার গং। ৫৭৪ নং দাগের ৭০ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর টেংরাখোলা হাটবাজারের জন্য এলএ ৩৯/৬৩-৬৪ নং এলএ কেসে অধিগ্রগনের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সরকারের ফান্ডে টাকা না থাকায় সরকার বাহাদুর রেকর্ডীয় মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০/০৮/১৯৮২ তারিখের চিঠিতে তৎকালীন এলএ কর্মকর্তা অধিগ্রহণ আদেশ বাতিল করে আমার বাবা-চাচাদের নিকট ফেরত প্রদানের আদেশ দেন। ইতিমধ্যে রেকর্ডীয় মালিক আজাহার সরদার ৬ পুত্র ৪ কন্যা ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু হাটবাজার কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করলে আজাহার সরদার এর ২ পুত্র আজিজুর রহমান ও ওলিয়ার রহমান বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে ৪৪/৮৯ নং মোকদ্দমা রুজু করেন। উক্ত মামলায় ২৫/০৩/৯১ তারিখ আমার বাপ চাচাদের পক্ষের অনুকূলে ডিক্রি হয়। সরকার বাহাদুর ৩৬/২০০৪ নং আপিল মোকদ্দমা রুজু করেন। আপিল মোকদ্দমায় সরকার বিপক্ষে রায় হয় ও ৪৪/৮৯ নং মামলার রায় ও ডিক্রি বহাল থাকে। পরবর্তীতে সরকার মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিট মোকদ্দমা রুজু করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিজ্ঞ জেলা জজ কোর্টকে পূনবিচারের নির্দেশ প্রদান করেন। পূণর্বিচারেও পূর্ববর্তী রায় বহাল থাকে। আমরা উক্ত রায়ের ভিত্তিতে নালিশি জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে দখলে থেকে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে বসবাস করি। কিন্তু বিবাদীপক্ষ পুনরায় ২৮/০২/২০০৫ তারিখ উচ্ছেদ এর জন্য নোটিশ প্রদান করলে আমি ৪০/২০০৫ নং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য মোকদ্দমা রুজু করি। উক্ত মোকদ্দমায় দোতরফা সূত্রে ০৮/০২/২০০৬ তারিখ বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ হয়। বিবাদীপক্ষ ২৩/২০০৬ নং আপিল মোকদ্দমা দায়ের করেন। আপিল মোকদ্দমা দোতরফা সূত্রে নামঞ্জুর হয় ও ৪০/২০০৫ মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রি বহাল থাকে। ইতিমধ্যে হাল রেকর্ড শুরু হলে আরএস ৫৭৪ দাগের ৭০ শতাংশ জমির মধ্যে হাল ১৩২ দাগে ০১.২৫ শতাংশ ও ১৬৪ দাগে ০৬.৮২ শতাংশ মোট ০৮.০৭ শতাংশ জমি আমার বাবা আজিজুর রহমানের নামে ৬০৭ খতিয়ানে শুদ্ধ রেকর্ড হয়।
ইতিমধ্যে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করলে আমি এ জমি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হই ও ভোগদখলে আছি। এ জমি ২২/৩/২০২০ তারিখের K-২০৭৬৬৭ নং দাখিলায় বাং লা ১৪২৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করি। নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করা স্বত্বেও মুকসুদপুর উপজেলা নি র্বাহী অফিসার ২১/০১/২০২৪ ইং তারিখ ৬৪ নংস্মারকে আমাদের স্থাপনা উচ্ছেদ এর জন্য নোটিশ প্রদান করেন।

আমরা ২৪/০১/২০২৪ ইং তারিখ উচ্ছেদ এর বিষয়েউপ রোক্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে জবাব দাখিল করলে আদাল তের সমস্ত কাগজকে ভুয়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করে আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করেন। এব্যপারে আমি বাং লাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আপনাদের মাধ্যমে আবেদন করছি য্হাতে আমি আমার বাপ দাদার সম্পত্তি ফিরে পাই।

এ ব্যপারে মকসুদপুর সদর পৌরসভার মেয়র আশ্রাফু ল আলম (শিমুল মিয়া) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গাটা সরকারের খাস খতিয়ানের “ক” তফসিলের জায়গা ওখানে বহুবছর ধরে একটি সেট করা ছিল। ৫০ বছর তার কোনো স্থাপনা নির্মাণ করে নাই। সরকার যখন কাজ শুরু করেছে এখন বাঁধা দিচ্ছে সরকারের নামে বিআরএস রেকর্ড রয়েছে ওটা তাদের নামে সংশোধন করে আনলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে দেব।

এ ব্যপারে মকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম ইমাম রাজী টুলুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলে ন,ঐ জায়গাটা সরকারের খাস জমি,জায়গা উপরে আ গে থেকেই সেড ছিল। বাজারের জায়গাটি পৌরসভার অধীনের হস্থান্তরিত এলাকার মানুষের দীর্ঘ্য দিনেরচাহি দা কারণে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এই বাজারেরকাজটি করে দিচ্ছে।এখন কাজ শেষের পথে।

তৌহিদ নামে একজন ঐ জায়গার মালিক দাবি করে জায়গায় উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার এই জমি সে বলছে, কাগজ-পাতিতে কোন প্রমাণ আমরা পাই নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page